বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় গ্রেফতার তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে আইনি সহায়তা দিতে দেড়শ আইনজীবী যাবেন বলে জানা গেছে।
Advertisement
মিন্নিকে আইনি সহায়তা দিতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট), আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), নিজেরা করি, এএলআরডিসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে একশ আইনজীবী বরগুনায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এছাড়া মিন্নিকে আইনি সহায়তা দিতে প্রথমেই ঘোষণা দিয়েছেন ওসি মোয়াজ্জেমের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ। তিনিসহ ঢাকা আইনজীবী সমিতির ৪০ আইনজীবী ঢাকা থেকে বরগুনা আদালতে শুনানির জন্য যাবেন।
>>আরও পড়ুন : মিন্নিকে আইনি সহায়তা দিতে আইনজীবীদের টিম বরগুনায়
Advertisement
মিন্নিকে গ্রেফতারের পর আদালতে হাজির করা হলেও তাকে আইনি সহায়তা দেননি কোনো আইনজীবী।
মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন, প্রভাবশালী মহলের চাপে বরগুনার কোনো আইনজীবী তার মেয়ের পক্ষে লড়তে রাজি হচ্ছেন না।
আইনজ্ঞরা বলছেন, আদালতে মিন্নির পক্ষে কোনো আইনজীবী না দাঁড়ানো সাংবিধানিক ও নাগরিক অধিকারের লঙ্ঘন। এমনকি বরগুনার সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা পেশাগত অসদাচরণ করেছেন বলেও অভিযোগ করেন তারা।
ব্লাস্টের সঙ্গে কাজ করছেন জ্যেষ্ঠ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী জেডআই খান পান্না। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, মিন্নিকে আইনি সহায়তার জন্য তার সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠন থেকে শতাধিক আইনজীবী বরগুনায় যাচ্ছেন।
Advertisement
>>আরও পড়ুন : আদালতে রিফাত হত্যার স্বীকারোক্তি দিলেন মিন্নি
পান্না বলেন, এরই মধ্যে আমাদের আইনজীবীরা কাজ শুরু করেছেন। মামলার তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছেন।
তিনি বলেন, ‘একজন স্বঘোষিত ঘুষদাতা ডিআইজি মিজানকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদেশ দিতে পারেন। অথচ ২০-২২ বছরের একটি মেয়েকে রিমান্ডের জন্য থানায় পাঠালেন আদালত। কীভাবে সম্ভব হলো। এটা কোন আইন না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তদন্তের নামে যা খুশি তো হতে পারে না।’ মিন্নির মামলার সার্বিক বিষয়ে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনে মামলাটি হাইকোর্টে নিয়ে আসব। এর সঙ্গে জড়িত সবাইকে তলব করাব।’
>>আরও পড়ুন : আদালতের প্রশ্নেরও সদুত্তর দিতে পারেননি মিন্নি
তিনি বলেন, আমাদের আইনজীবীরা আজ বরগুনায় গেছেন। তাদের কেউ কেউ ৩১ জুলাই পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করবেন। আবার কেউ কেউ সোম কিংবা মঙ্গলবার ফিরবেন। তবে আইনজীবীদের নাম প্রকাশ করেননি তিনি।
সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, কেউ যদি আইনগত সহায়তা চায়, তাহলে তাকে আইনি সহায়তা দেয়া আইনজীবীর নৈতিক দায়িত্ব। এরপরও যদি কোনো আইনজীবী মিন্নিকে তা দিতে অস্বীকৃতি জানান, তাহলে মিন্নি বা তার পরিবার সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর বিরুদ্ধে বার কাউন্সিলের শরণাপন্ন হতে পারেন বা হাইকোর্টকেও জানাতে পারেন। আদালত অবশ্যই যথাযথ আদেশ দেবেন।
এফএইচ/জেএইচ/এমএস