আগামী এক থেকে দুই মাসেই মধ্যেই বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এমাজউদ্দীন আহমেদ।শনিবার রাতে রাজধানী ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স অব বাংলাদেশ মিলনায়তনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ৮ম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।বিএনপিপন্থী এই বুদ্ধিজীবী বলেন, সরকারের যখন পতনের সময় আসে তখন তারা স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদি আচারণ শুরু করে। আর বর্তমান সরকার সে ধরনেই কাজ করছে। তাই অতি অল্প সময়েই সরকারের পতন নিশ্চিত হবে। আর তখন আওয়ামী লীগ ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাচি’ বলতে বাধ্য হবে।বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক পন্থায় দলকে সংগঠিত করতে হবে। একই সঙ্গে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নেতাদেরও নির্বাচন করতে হবে। তাহলেই সফলতা সম্ভব। অন্যথায় নয়।খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে এমাজউদ্দীন আরো বলেন, আপনি যেভাবে অগ্রসর হতে চাচ্ছেন সেভাবেই অগ্রসর হন। কারণ আপনার পাশে তরুণ-তরুণী অনেক আছে। আপনি জনপ্রিয় নেত্রী। তাই জনপ্রিয়তা নিয়েই বটবৃক্ষের উপর উঠে দাঁড়ান।অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, কোন যুক্তিতে আপনি শিক্ষার্থীদের উপর ভ্যাট ধরেছেন। আপনি ভ্যাট ধরার পর বলেছেন, শিক্ষার্থীদের ভ্যাট দিতে হবে না, ভ্যাট দেবে প্রতিষ্ঠান। কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে, প্রতিষ্ঠান এই টাকাতো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেই নেবে?প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, কাদের পকেট ভর্তি করা জন্য শিক্ষার্থীদের উপর ভ্যাট ধরেছেন। এই সব টাকার হিসাব আপনার কাছ থেকে নেওয়া হবে। আর এর জন্য একদিন আপনার বিচার করবে জনগণ।আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসেনর উপদেষ্টা শাসুজ্জামান দুদু, দলের যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, গণ শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানা উল্লাহ মিয়া, সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সহ-দফতর সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, আসাদুল করিম শাহীন, মহিলা দলের সভাপতি নূরে আরা সাফা প্রমুখ।এমএম/এসএইচএস/এমএস
Advertisement