বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী ও নিহতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে আইনি সহায়তা দেয়ার জন্য আইন ও সালিশ কেন্দ্রের একটি টিম বরগুনায় পৌঁছেছে।
Advertisement
শনিবার বিকেল ৩টার দিকে চার সদস্যবিশিষ্ট মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) আইনজীবীরা বরগুনায় গিয়ে পৌঁছান।
আরও পড়ুন : আরেক নয়ন বন্ডকে গ্রেফতার করল পুলিশ
এরপর মিন্নির বাড়িতে গিয়ে মিন্নির বাবার সঙ্গে কথা বলেন তারা। সেখান থেকে ফিরে এসে মিন্নিকে আইনি সহায়তা দেয়ার জন্য বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. মাহবুবুল বারী আসলামের সঙ্গে কথা বলেন তারা।
Advertisement
আরও পড়ুন : আদালতে রিফাত হত্যার স্বীকারোক্তি দিলেন মিন্নি
মিন্নিকে আইনি সহযোগিতা দেয়ার জন্য আইন ও সালিশ কেন্দ্র থেকে আসা টিমের সদস্যরা হলেন- আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সিনিয়র স্টাফ অ্যাডভোকেট আবদুর রশীদ, কেন্দ্রের সিনিয়র সমন্বয়কারী আবু আহমেদ ফয়জুল কবীর, সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান ও কেন্দ্রের তদন্ত কর্মকর্তা হাসিবুর রহমান।
আরও পড়ুন : ফের আদালতে মিন্নি
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সিনিয়র স্টাফ অ্যাডভোকেট আবদুর রশীদ বলেন, আমরা মূলত মিন্নিকে আইনি সহায়তা দেয়ার জন্য ঢাকা থেকে এখানে এসেছি। আমরা মিন্নির বাবার সঙ্গে কথা বলেছি। একজন আইনজীবীর সঙ্গেও কথা বলেছি আমরা। আমরা মিন্নিকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব।
Advertisement
আরও পড়ুন : ৫ দিনের রিমান্ডে রিশান ফরাজী
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. মাহবুবুল বারী আসলাম বলেন, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের টিমের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আগামীকাল রোববার আদালতে মিন্নির জামিনের জন্য আমি দাঁড়াব। একই সঙ্গে মামলার শুনানিতে অংশ নেব আমরা। আমাকে সহযোগিতা করবেন আইন ও সালিশ কেন্দ্র থেকে আসা টিমের সদস্যরা।
গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বরগুনার মাইঠা এলাকার বাবার বাসা থেকে বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোরসহ মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তার বক্তব্য রেকর্ড করতে বরগুনা পুলিশ লাইন্সে নিয়ে যায় পুলিশ।
এরপর দীর্ঘ ১০ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদ ও বিভিন্ন মাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ ও পুলিশের কৌশলী এবং বুদ্ধিদীপ্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে আটকে যান মিন্নি। বেরিয়ে আসে হত্যাকাণ্ডে তার সম্পৃক্ততার প্রমাণ। এরপরই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন : আদালতের প্রশ্নেরও সদুত্তর দিতে পারেননি মিন্নি
বুধবার বিকেল ৩টার দিকে বরগুনার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মিন্নিকে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। পরে শুনানি শেষে মিন্নির পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী।
পরদিন বৃহস্পতিবার বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন জানিয়েছিলেন, মঙ্গলবার দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ ও বুধবার রিমান্ড মঞ্জুরের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রয়েছেন আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি। ইতোমধ্যে মিন্নি স্বামী রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। এ হত্যার পরিকল্পনার সঙ্গেও তিনি যুক্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন : একটি মোবাইল ফোনকে ঘিরেই রিফাত হত্যার গল্প শুরু
আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ১৬ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে মিন্নিসহ ১৩ জন অভিযুক্ত রিফাত হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া এ মামলার দুজন অভিযুক্ত রিমান্ডে রয়েছেন। আর এ মামলার প্রধান অভিযুক্ত নয়ন বন্ড বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
মিরাজ/এএম/এমএস