জাতীয়

ঈদুল আজহায় নৌ নিরাপত্তায় ১০ সুপারিশ

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে নৌপথে নিরাপদ যাতায়াতের লক্ষ্যে সারাদেশে অবিলম্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিচালনাসহ ১০ দফা সুপারিশ করেছে শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরাম (এসসিআরএফ)।

Advertisement

শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই সুপারিশ উত্থাপন করা হয়। ভরা দুর্যোগ মৌসুমে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে- এই বিবেচনা থেকে বাস্তবতার আলোকে সুপারিশগুলো তৈরি করা হয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

সুপারিশগুলো হলো

১. সব নদীবন্দর ও নৌপথে অবিলম্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম শুরু।২. নৌপরিবহন অধিদফতর ও বিআইডব্লিউটিএতে জরুরি ভিত্তিতে তিনজন করে অস্থায়ী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পদায়ন দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সংখ্যা বৃদ্ধি।৩. পদ্মার শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল সুশৃঙ্খল রাখতে পর্যাপ্তসংখ্যক র‌্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন।৪. শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ।৫. উপকূলীয়, হাওর ও পাহাড়ি জনপদে অবৈধ ও ত্রুটিপূর্ণ নৌযান চলাচল বন্ধে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনকে সম্পৃক্তকরণ।৬. গুরুত্বপূর্ণ নৌপথসমূহে কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশের তৎপরতা জোরদারকরণ।৭. টার্মিনাল ও গুরুত্বপূর্ণ ঘাটগুলোতে বড় পর্দায় ও লাউড স্পিকারে এবং বেতার-টেলিভিশনে প্রতি ঘণ্টায় আবহাওয়া বার্তা প্রচার।৮. লঞ্চ ও স্টিমারসহ সবধরনের যাত্রীবাহী নৌযানে প্রয়োজনীয়সংখ্যক সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন।৯. সব টার্মিনালে শৌচাগার ও অজুখানায় পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থাসহ পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতকরণ।১০. যাত্রীবোঝাই লঞ্চ ছাড়ার আগ মুহূর্তে ভিডিওচিত্র ধারণ করে তা যথাযথভাবে সংরক্ষণ।

Advertisement

এসসিআরএফ সভাপতি আশীষ কুমার দে বলেন, দূরপাল্লার সড়কে তীব্র যানজটসহ সারা বছর যে হারে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে তাতে উপকূলীয় জনপদের মানুষ নৌপথকেই প্রাধান্য দেবে। ফলে লঞ্চ-স্টিমারসহ নৌযানে যাত্রীর চাপ অনেক বেড়ে যাবে।

অন্যদিকে চলছে ভরা দুর্যোগ মৌসুম। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে জনস্বার্থে আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন বলে তারা মনে করেন।

এফএইচএস/বিএ/এমএস

Advertisement