দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায় চতুর্থ শ্রেণির (১১) এক প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনা সালিশের মাধ্যমে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মানববন্ধন করেছে সচেতন নাগরিক সমাজ।
Advertisement
শনিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত স্থানীয় নিমতলা মোড়ে দিনাজপুর-ঢাকা মহাসড়কের পাশে এ মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, উপজেলার শিবনগরে ৩ জুলাই চতুর্থ শ্রেণির এক প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণ করা হয়। এমন জঘন্য ঘটনাটি স্থানীয় কয়েকজন মাতব্বর সালিশের মাধ্যমে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। ঘটনাটি নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর ধর্ষকসহ পাঁচ মাতব্বরের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সচেতন নাগরিক সমাজের সভাপতি আরিফ খান জয়, সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি ইমাম রেজা, সমাজকর্মী মাহবুব এ হাফিজ ড্যানি, সাংবাদিক মো. রজব আলী, ফুলবাড়ী থানা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আফজাল হোসেন ও সাংবাদিক মেহেদী হাছান উজ্জ্বল।
Advertisement
গত ৩ জুলাই ফুলবাড়ী উপজেলার ৭নং মিবনগর ইউনিয়নের রামভদ্রপুর আবাসন এলাকার চতুর্থ শ্রেণির এক প্রতিবন্ধী ছাত্রী দোকান থেকে জুস নিয়ে বাড়ি ফিরছিল।
এ সময় প্রতিবেশী মেহেদুল ইসলাম (৩৫) শিশুটিকে জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে। মেহেদুল ইসলামের ঘরে দুই স্ত্রী রয়েছে। পরে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য স্থানীয় মাতব্বররা শিশুটির মা-বাবার ওপর বিভিন্ন ধরনের চাপ সৃষ্টিসহ হুমকি দেয়। একপর্যায়ে সালিশ-বৈঠকের মাধ্যমে ১৪ হাজার টাকায় ধর্ষণের ঘটনাটি মীমাংসা করতে বাধ্য করে স্থানীয় মাতব্বররা।
এরপর সালিশে ধর্ষকের কাছ থেকে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে ধর্ষণের শিকার শিশুর বাবাকে সাত হাজার টাকা দেয়া হয়। বাকি সাত হাজার টাকা ভাগবাটোয়ারা করে নেয় সালিশদাররা।
বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে প্রশাসনের নজরে আসে। এ অবস্থায় ১১ জুলাই ফুলবাড়ী থানা পুলিশের ওসি ফখরুল ইসলাম শিশুটির বাবাকে থানায় নিয়ে মামলা গ্রহণ করেন। পরে হাইকোর্ট মামলার অগ্রগতি জানতে চান। এরই মধ্যে গত বৃহস্পতিবার ধর্ষক মেহেদুল ও তার সহযোগী সালিশদার সুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
Advertisement
এমদাদুল হক মিলন/এএম/জেআইএম