দেশজুড়ে

রঙিন রূপবান চাষে লাভবান হচ্ছেন শৈলকুপার কৃষকরা

এক সময়ের আলোচিত বাংলা চলচ্চিত্রের নাম রঙিন রূপবান। চলচ্চিত্রটির নায়িকার নাম ছিল রূপবান। সাড়া জাগানো চলচ্চিত্রটির চরিত্র এখন শোভা পাচ্ছে কৃষকের ক্ষেতে। একটি শিমের জাতের নামকরণ (স্থানীয়ভাবে) করা হয়েছে নায়িকার নামে। শিমটি দেখতেও রঙিন। এই রঙিন রূপবান চাষে শৈলকুপার কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। আগাম জাতের এই শিম চাষে এবারে ভালো ফলন পাচ্ছেন কৃষকেরা। এমন কথাই জানালেন ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের শিমচাষি সজল ইসলাম (২৮)।কৃষক সজল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, এ জাতের শিম বীজ সাধারণত বৈশাখ-জেষ্ঠ্য মাসে বপন করতে হয়। জমিতে ভালো করে চাষ দিয়ে বেড তৈরী করে বীজ বপন করতে হয়। বীজ বপনের ৩/৪দিনের মধ্যে চারা গজায়। চারা একটু বড় হলে সেচের ব্যবস্থা করতে হয়। এরপর বাঁশ ও পাটকাঠি দিয়ে বান তৈরী করা হয়। জমির উর্বরতা কম হলে গাছ বানে উঠার আগেই জমিতে জৈব ও রাসায়নিক সার টিএসপি, পটাশ, ইউরিয়া ও অল্প পরিমাণে দস্তা সার প্রয়োগ করা হয় । ফুল আসার প্রায় ১৫দিনের মধ্যে শিম বিক্রির উপযোগী হয়। আবহাওয়া ভালো থাকলে প্রায় মাঘ মাস পর্যন্ত একাধারে শিম বিক্রয় করা যায় বলে তিনি জানান। সজল ইসলাম আরো জানান, রূপবান জাতের শিম গাছে শিম আসার পর শিমে আটকে থাকা ফুল ফেলে দিতে হয় নইলে শিম বড় হয় না। এ জাতের শিম চাষে সার ওষুধে খুব একটা খরচ না হলেও ফুল ছাড়াতে বেশ টাকা ব্যয় হয় বলে তিনি জানান। তিনি এ বছর ২৫ শতাংশ জমিতে শিম চাষ করেছেন। প্রথম তিন দিনে ৭ মণ (২৮০ কেজি) শিম কেজি প্রতি ৬০/৭০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। সজল জানান, এক বিঘা জমিতে বেড তৈরী, বান তৈরী, ক্ষেতে সেচ ও সার ওষুধ বাবদ প্রায় ৩০/৪০ হাজার টাকা ব্যয় হয়। আবহাওয়া ভালো থাকলে ও ভালো ফলন হলে এক বিঘা জমি থেকে খরচ বাদে প্রায় ৮০/৯০হাজার টাকা লাভ হয়। শৈলকুপা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাগো নিউজকে জানান, এ বছরে শৈলকুপা উপজেলার রামচন্দ্রপুর, পদমদী, শ্রীরামপুর ও শেরপুরসহ বিভিন্ন গ্রামে প্রায় ২০ হেক্টর জমিতে  গ্রীষ্মকালীন শিম বা আগাম জাতের শিম  চাষ হয়েছে। লাভজনক হওয়ায় গ্রীষ্মকালীন শিম চাষ প্রতি বছর বেড়েই চলেছে। তবে এ বছর অতি বৃষ্টির কারণে প্রথম দিকে কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখিন হলেও এখন সে ক্ষতি কাটিয়ে উঠেছেন।এমজেড/এমএস

Advertisement