জাতীয়

প্রিয়া সাহার মন্তব্য আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ

সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের বিষয়ে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহার মন্তব্য একটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ। তাকে আইনি প্রক্রিয়ায় আনতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

Advertisement

শনিবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (বিএফডিসি) বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, তিনি (প্রিয়া সাহা) যে অভিযোগ করেছেন, তা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। ইতোমধ্যে প্রিয়া সাহাকে আইনি প্রক্রিয়ায় আনতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, প্রিয়া সাহার এমন মন্তব্যের প্রতিবাদ জানাতে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যোগাযোগ করছে। সব বক্তব্য, তথ্য-প্রমাণ তদন্ত সাপেক্ষে প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Advertisement

তিনি বলেন, আমরা রথযাত্রা, উল্টো রথযাত্রা, দুর্গাপূজাসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠান, বড়দিনে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করি। সংখ্যালঘুদের ওপর কেউ যাতে নির্যাতন ও হামলা করতে না পারে সে জন্য আমরা তৎপর ভূমিকা পালন করি। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে কারও জমি ছিনিয়ে নেয়ার মতো কোনো ঘটনা বাংলাদেশে ঘটেনি।

উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার ২৭ ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে ১৬ দেশের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহাও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান।

প্রিয়া সাহা মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। বাংলাদেশে তিন কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান নিখোঁজ রয়েছেন। দয়া করে আমাদের লোকজনকে সহায়তা করুন। আমরা আমাদের দেশে থাকতে চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন সেখানে এক কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু রয়েছে। আমরা আমাদের বাড়িঘর খুইয়েছি। তারা আমাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে, তারা আমাদের ভূমি দখল করে নিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো বিচার পাইনি।’

Advertisement

প্রিয়া সাহার এ বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ দেশজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

এআর/বিএ/এমএস