হজ পালনের জন্য এক মানবিক ভিডিও বার্তা ও আবেদনে ভাগ্য খুলেছে এক দরিদ্র পরিবারের। ১৪০ বছরের এক বৃদ্ধের দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন হজ করার। কিন্তু অসহায় এ পরিবারের নেই আর্থিক সঙ্গতি। অবশেষে ভিডিও আবেদনের প্রেক্ষিতে সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় এ প্রবীন ব্যক্তির হজের স্বপ্ন পূরণ হতে চলছে। খবর আরব নিউজ।
Advertisement
ইন্দোনেশিয়ার ১৪০ বছরের এক প্রবীন ব্যক্তি। স্বপ্ন দেখেন হজ পালনের। আর্থিকভাবে অসহায় প্রবীন ব্যক্তিকে নিয়ে পরিবারের দুই সদস্য বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজের কাছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভিডিও বার্তায় হজের আবেদন জানান। আর তাতেই তাদের ভাগ্য খুলে যায়।
ভিডিও বার্তায় এক প্রবীন ব্যক্তিকে মাঝে বসিয়ে দুই নারী, বাদশাহ সালমানকে উদ্দেশ্য করে বক্তব্য দেন। তাদের বক্তব্যে হজের আগ্রহ ও ইচ্ছার কথা ওঠে আসে। ভিডিও বার্তার এ আবেদনে তারা জানায়-
مسن إندونيسي يبلغ من العمر 140 عام يناشد #خادم_الحرمين_الشريفين حفظة الله و #ولي_العهد الأمين بالحج على نفقتهم حفظهم الله @KingSalman @Badermasaker #ضيوف_خادم_الحرمين pic.twitter.com/JpmDD5Utnm
Advertisement
আর্থিকভাবে হজ করার সক্ষমতা তাদের নেই। তারা অসহায়। পরিবারের প্রবীন ব্যক্তির বয়স ১৪০ বছর। ১৪০ বছরের পিতামহ ও প্রবীন এ ব্যক্তির রয়েছে হজের একান্ত আকাঙক্ষা। যা বাস্তবায়নের তাদের সামর্থ্য নেই। যদি বাদশাহর পৃষ্ঠপোষকতা পায় তবে তাদের হজের এ প্রত্যাশা ও স্বপ্ন পূরণ হবে।
ভিডিওতে বাদশাহ সালমানসহ যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। ইতোমধ্যে এ ভিডিও তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়। ফলে ইন্দোনেশিয়ার এক অসহায় পরিবারের ভিডিও আবদেন তাদের হজের মনোবাসনা পূরণ হতে চলেছে।
ফলে ইন্দোনেশিয়ায় নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত সৌদি কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ওই অসহায় পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। গত ১৬ জুলাই ইন্দোনেশিয়ায় নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসাম বিন আব্দ আল-থাকাফি তাদেরকে দূতাবাসে সাক্ষাতের জন্য ডেকে নিয়েছেন।
#خادم_الحرمين_الشريفين يوجه بإستضافة المعمر الإندونيسي يوحي وعائلته لأداء فريضة #الحج pic.twitter.com/NvAwXaNfyv
Advertisement
এ দরিদ্র পরিবার এ বছরই সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় হজ পালনের যাচ্ছে পবিত্র নগরী মক্কায়। পূরণ হতে যাচ্ছে এ পরিবারের বহুল প্রত্যাশিত হজের স্বপ্ন। খুব কাছাকাছি সময়েই তারা হজের উদ্দেশে রওয়ানা হবেন।
উল্লেখ্য যে, বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইন্দোনেশিয়া। দেশটিতে এখন যদি কেউ হজে যাওয়ার ইচ্ছা করে তবে অর্থ সম্পদ থাকলেও সে ২০৩৫ সালের আগে হজে যেতে পারবে না।
কোটা ব্যবস্থার কারণে তাকে অপেক্ষা করতে হবে দীর্ঘ ১৫ বছর। ২০৩৪ সাল পর্যন্ত যারা হজে যাবে ইতোমধ্যে তাদের হজের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়ে গেছে। এখন চলছে ২০৩৫ সালের হজ রেজিস্ট্রেশন।
এমএমএস/এমকেএইচ