ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের বাহক এডিস মশা নিধন না হওয়া পর্যন্ত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও মশক নিধন বিভাগের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
Advertisement
শুক্রবার রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে ডিএনসিসির উদ্যোগে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া বিষয়ক জনসচেতনতামূলক র্যালীতে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম এ কথা জানান।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ডিএনসিসির এলাকা থেকে ডেঙ্গু রোগের ভাইরাস বহনকারী এডিস মশা নিধন না হওয়া পর্যন্ত আমরা সার্বিকভাবে কাজ করে যাব। আর এই কাজকে আরও গতিশীল করতে ডিএনসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও মশক নিধন বিভাগের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটিল বাতিল করা হয়েছে। মশক নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসির মশক নিধন কর্মী ও সুপারভাইজাররা নিয়মিত কাজ করছে। প্রতিটি এলাকার মশক নিধন কর্মী, সুপারভাইজার ও মনিটরিং কর্মকর্তার নাম ও মোবাইল নম্বর ডিএনসিসির ওয়েবসাইটে দেয়া আছে। যে কেউ তাদের ফোন করে এ বিষয়ে জানাতে পারবেন। সেই সঙ্গে জবাবদিহিতার আওতায় আনা যাবে।
আরও পড়ুন>> ঢাকার বাইরেও ছড়িয়ে পড়ছে ডেঙ্গু
Advertisement
ডেঙ্গু নিধনে এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি জনসচেতনতা উল্লেখ করে মেয়র বলেন, বাসায় কোনোভাবেই পানি জমিয়ে রাখা যাবে না। পরিষ্কার পানিও তিন দিন জমিয়ে রাখলে এডিস মশার জন্ম হয়। জমে থাকা স্বচ্ছ পানি নিজ দায়িত্বে পরিষ্কার করতে হবে।
তিনি বলেন, জনসচেতনা সৃষ্টির লক্ষ্যে নাগরিকদের ডিএনসিসির পক্ষ থেকে বলা হয়, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া একটি ভাইরাসজনিত জ্বর, যার বাহক এডিস মশা। এডিস মশা বাসাবাড়ির ভেতরে এবং বাহিরে যত্রতত্র পড়ে থাকা বিভিন্ন পাত্র ও অন্যান্য স্থানে জমে থাকা পরিষ্কার পানিতে ডিম পাড়ে। এডিস মশা নিধনে নগরবাসীরদের সচেতনভাবে মশক নিধন কর্মীদের সহযোগিতা এবং অংশগ্রহণ করা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন>> স্ত্রীর ডেঙ্গু, মেয়রের কাছে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চান স্বামী
মেয়র আরও বলেন, বেইজমেন্টের পানির ট্যাংক, নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত চৌবাচ্চা, ওয়াসার পানির মিটার, অব্যবহৃত বালতি, ড্রাম, পানি রাখার মটজা, ফুলের টব ইত্যাদি স্থানে একনাগাড়ে ৩ দিনের বেশি পানি জমতে দিবেন না। বাড়ির ছাদ, দুই দালানের মাঝে স্যাঁতস্যাঁতে করে রাখবেন না। বাড়ির আশে পাশে ঝোপঝাড় এবং আঙিনা পরিষ্কার রাখুন।
Advertisement
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের বাহক এডিস মশা সম্পর্কে নগরবাসীকে সচেতন করতে আয়োজিত এই র্যালীতে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানসহ ডিএনসিসি এলাকার কাউন্সিলর, নেতাকর্মী, চলচ্চিত্র, টেলিভিশন, ক্রীড়া ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।
এএস/এমএসএইচ/এমকেএইচ