দিন কয়েক আগে পাকিস্তান ক্রিকেটের প্রধান নির্বাচকের পদ থেকে অব্যহতি নিয়েছেন ইনজামাম উল হক। তার সময়কালে পাকিস্তান দলের বড় বড় সাফল্যও ছিল, তবে সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপে ব্যর্থতাটাই চোখে পড়ছে বেশি।
Advertisement
বিশ্বকাপে এবার গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে পাকিস্তান। যে ব্যর্থতার ময়নাতদন্ত শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে। ম্যানেজম্যান্ট নিয়ে নতুন করে ভাবা হচ্ছে, পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সও।
যেহেতু ইনজামাম প্রধান নির্বাচক ছিলেন, ভাতিজা ইমাম উল হককে দলে নেয়া নিয়ে কথা ছিল সবসময়ই। চাচার জোরেই কি ইমাম দলে জায়গা পেয়েছিলেন কি না, সেই বিতর্ক কাটেনি আন্তর্জাতিক আঙিনায় পাকিস্তানি এই ওপেনার দুর্দান্ত পারফর্ম করার পরও।
বিদায়বেলায় আরও একবার এই বিষয়টি উঠে আসলো ইনজামামের সামনে। পাকিস্তান দলের বিদায়ী প্রধান নির্বাচক তার ভাতিজার উত্থান নিয়ে যা বললেন, সেটি শুনলে হয়তো অনেকের চোখ কপালে উঠবে।
Advertisement
ইনজামাম জানালেন, তিনি প্রধান নির্বাচক হলেও ২৩ বছর বয়সী ইমামকে জাতীয় দলে আনার পেছনে তার কোনো রকম প্রভাবই ছিল না। এই প্রস্তাবটি প্রথম তুলেন দলের ব্যাটিং কোচ গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার।
ইনজামাম বলেন, ‘যখন সে আন্তর্জাতিক দলে ঢুকে অনেকেই হয়তো জানেন না, প্রস্তাবটা কে দিয়েছিলেন। প্রথম গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার এসে আমাকে বলেন, ইমামকে ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি রান করতে দেখেছেন। তারপর প্রধান কোচ মিকি আর্থার সিলেকশন কমিটিতে ইমামের প্রসঙ্গটি তুলেন।’
পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক যোগ করেন, ‘অনেকেই তার দলে আসা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। কিন্তু যখন দল নির্বাচনে তার নামটি আসে, আমি চুপ করেই ছিলাম। সিদ্ধান্ত নেয়ার ভারটা অন্যদের উপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। তাই আপনারা যখন বলেন, আমার জন্য সে দলে এসেছে, এটা পুরোপুরিই অযৌক্তিক। কেননা দল আমি একা বাছাই করি না। এতে প্রধান কোচ, অধিনায়কও থাকেন, তাদের কেন প্রশ্ন করেন না!’
২০১২ সালে পাকিস্তানের অনূর্ধ্ব-১৯ দলে ছিলেন ইমাম। ২০১৪ সালে এই দলের সহ-অধিনায়কও নির্বাচিত হন। ইনজামাম সেই উদাহরণ টেনে বলেন, ‘আমার জন্য সে দলে এসেছে, এটা শুনলে আমার এবং তার দুজনেরই খারাপ লাগে। একটা কথা বলি, ২০১২ সালে তো আমি পিসিবিতে ছিলাম না। কিন্তু সে তখন অনূর্ধ্ব-১৯ দলে জায়গা পায়। ২০১৪ সালে সে যুব বিশ্বকাপ দলে সহ-অধিনায়কও হয়। এই পথ ধরেই তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এসেছে সে।’
Advertisement
দলে আসার পর ইমাম নিজের যোগ্যতা দিয়েই জায়গা থিতু করেছেন, মনে করিয়ে দিলেন ইনজামাম। ভাতিজার পারফরম্যান্স নিয়ে তিনি বলেন, ‘সে রান করেই দলে জায়গা করে নিয়েছে। ৩৬ ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত ওপেনার হিসেবে সে ভালোই করেছে। গড় ৫০-এর উপরে। এখন পর্যন্ত কেউ সেটা পারেনি। তাই আমি মনে করি, সবার উচিত ইমামকে আর দশজন খেলোয়াড়ের মতোই দেখা।’
এমএমআর/এমকেএইচ