বুধবার মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে হয়ে যাওয়া কাতার-২০২২ বিশ্বকাপের এশিয়া অঞ্চলের বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্বের ড্রয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ‘ই’ গ্রুপের একটি দল আফগানিস্তান। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচও যুদ্ধ বিধ্বস্ত এই দেশটির বিরুদ্ধে ১০ সেপ্টেম্বর। প্রথম ম্যাচটি বাংলাদেশের অ্যাওয়ে। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ফিরতি ম্যাচ ঢাকায় আগামী বছর ২৬ মার্চ।
Advertisement
হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে দলগুলো পরস্পরের বিরুদ্ধে দুটি করে ম্যাচ খেলবে। বাংলাদেশ, কাতার, ভারত ও ওমানকে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে হবে দেশটির হোম ভেন্যুতে গিয়ে। কিন্তু আফগানিস্তানের হোম ভেন্যু কোথায় হবে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। কারণ, আফগানিস্তান যদি তাদের রাজধানী কাবুল বা অন্য কোনো শহরের স্টেডিয়ামকে হোম ভেন্যু করে সেক্ষেত্রে কি করবে অন্য দলগুলো।
নিয়ম অনুযায়ী ৩১ জুলাইর মধ্যে দেশগুলোকে তাদের হোম ভেন্যুর নাম জানাতে হবে এএফসিকে। তাই কে কোন ভেন্যুকে হোম হিসেবে দেখাবে সেটা জানতে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে আরো। তবে বাংলাদেশের দুঃশ্চিন্তা আফগানিস্তানের হোম ভেন্যু নিয়ে।
নিজেদের উদ্বেগের কথা জানাতে গিয়ে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেছেন, ‘আগে দেখি আফগানিস্তান কোথায় তাদের হোম ভেন্যু করে। তাদের দেশে হোম ভেন্যু করলে আমরা নিরাপত্তার কথা জানাবো ফিফা-এএফসিকে।’
Advertisement
আফগানিস্তানের ফুটবলাররা নিজে দেশের চেয়ে অন্য দেশেই বেশি খেলেন। কারণ, দেশটিতে গিয়ে কোনো দলই খেলতে চায় না। গত রাশিয়া বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে আফগানিস্তান ছিল ‘ই’ গ্রুপে জাপান, সিঙ্গাপুর, সিরিয়া ও কম্বোডিয়ার সঙ্গে। তখন আফগানিস্তান হোম ভেন্যু করেছিল ইরানের তেহরানে।
আরআই/এমএমআর/এমকেএইচ