খেজুরপাতার হস্তশিল্প বাংলাদেশে নতুন কিছু নয়। গ্রামাঞ্চলে ঘরে ঘরে খেজুরপাতার তৈরি জিনিসপত্র পাওয়া যায়। তবে এবার বলছিলাম খেজুরের জন্মস্থান সৌদি আরবের কথা। সে দেশের ৪৫ বছর বয়সী নারী মাসুমা সালেহ আল হামদান খেজুরপাতার হস্তশিল্প দিয়ে নিজের ভাগ্য বদলে ফেলেছেন।
Advertisement
জানা যায়, মাসুমা পনেরো বছর আগে থেকেই খেজুরপাতা দিয়ে হস্তশিল্পের কাজ করে আসছিলেন। তারমধ্যে চাটাই ও মাদুর ছিল অন্যতম। তবে এসব তৈরি করে দীর্ঘ সাত-আট বছরেও তিনি সফলতার মুখ দেখেননি। মূলত তিনি তার মায়ের কাছেই শিখেছিলেন এ কাজ।
> আরও পড়ুন- জাতিসংঘে কাজ করার স্বপ্ন পূরণ হলো যেভাবে
পারিবারিক শিক্ষায় ব্যর্থ হয়েও তিনি হাল ছাড়েননি। এরপর ইন্টারনেট ঘেটে ঘেটে নতুন কিছু তৈরি করার স্বপ্ন দেখতেন। সেখান থেকেই গোলাপ ফুল এবং ব্যাগ বানানোর আইডিয়া পেয়ে যান। কিন্তু যখন নিজের মেধা কাজে লাগিয়ে ভালো কিছু করার চেষ্টা করছিলেন, তখন অনেকেই নিরুৎসাহিত করত। অথচ তিনিই পরে বিপ্লব ঘটিয়েছেন।
Advertisement
আল-আরাবিয়া সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ জুলাই সৌদি আরবের উত্তরাঞ্চলীয় শহর সাফওয়ায় মাসুমার শিল্পকর্মের একক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। এর মাধ্যমে তার ৩০টি শিল্পকর্ম উপস্থাপিত হয়। তারমধ্যে আকর্ষণীয় ছিল খেজুরপাতা দিয়ে বানানো গোলাপ ফুল ও ফুলের তোড়া।
> আরও পড়ুন- যুক্তরাষ্ট্রের ভাসমান ট্রেনের আবিষ্কারক বাংলাদেশি বিজ্ঞানী
এছাড়াও তিনি খেজুরপাতা দিয়ে কারুকার্যময় হ্যান্ডব্যাগ ও মূল্যবান বাণী লিখে পাটিসহ বিভিন্ন রকম সৌখিন সামগ্রী তৈরি করেছেন। প্রদর্শনীতে মাসুমার তৈরি এসব শিল্পকর্ম ব্যাপক প্রশংসা কুড়াতে সক্ষম হয়। এরপর থেকেই মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়ে যায়। ফলে তিনি হয়ে ওঠেন স্বাবলম্বী এবং বিখ্যাত।
সফলতা সম্পর্কে মাসুমা সালেহ আল হামদান বলেন, ‘খেজুর এবং খেজুরপাতা আমাদের ঐতিহ্যের বিরাট একটি অংশ। তাই ছোটবেলা থেকেই এর প্রতি আলাদা টান অনুভব করতাম। গত সাত বছরে বুদ্ধি, ধৈর্য ও ধারণার মাধ্যমে সফল ও স্বাবলম্বী হয়েছি। একজন সাধারণ নারী থেকে বিখ্যাত শিল্পী হতে পেরেছি।’
Advertisement
এসইউ/এমকেএইচ