ক্যাম্পাস

ইবির অধ্যাপককে নিয়ে ছাত্রলীগকর্মীর অশ্লীল স্ট্যাটাস

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও মুসলিম বিধান বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক অধ্যাপক ড. আবদুল করিম খানকে নিয়ে ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের মানহানিকর ও অশ্লীল স্ট্যাটাস দিয়েছে একই বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র বাবু মীর। বিষয়টি বিভাগের সিনিয়র শিক্ষার্থীদের চোখে পড়লে তারা সমাধানের চেষ্টা করে। এসময় জুনিয়ররা তাদেরকে লাঞ্ছিত করেছে বলে জানা গেছে। শিক্ষককে নিয়ে ছাত্রের অশ্লীল স্ট্যাটাস এবং জুনিয়রদের হাতে সিনিয়র লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় ক্যাম্পাসে ব্যাপক তোলপাড় ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ক্যাম্পাসের একজন সিনিয়র শিক্ষককে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অশ্লীল স্ট্যাটাস বিভাগের সিনিয়র শিক্ষার্থীদের নজরে আসে। বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী আইন ছাত্র পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল আওয়াল, সান, পিয়াসসহ সিনিয়র শিক্ষার্থীরা বিষয়টি সমাধানের জন্য অভিযুক্ত বাবু মীরসহ ওই শিক্ষাবর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে বিভাগের একটি কক্ষে আলোচনায় বসে। এসময় বিভাগের সিনিয়র শিক্ষার্থীরা কেন বিভাগের একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপত্তিকর স্ট্যাটাস দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে ওই শিক্ষার্থী হাসতে থাকে। এসময় সিনিয়র শিক্ষার্থীরা রেগে গিয়ে তাকে চেয়ারের ওপর দাঁড় করিয়ে রাখে। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মিজনুর রহমান মিজু সমর্থক জুনিয়র গ্রুপের কর্মী আইন বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র ফয়সাল সিদ্দিকি আরাফাতকে রুমে আটকে রাখা হয়েছে বলে মোবাইল ফোনে জানায়। খবর পেয়ে আরাফাত আইন বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র রিয়ন, পলাশ, মামুন. ইতিহাস বিভাগের বিপুল, অনিক, রাষ্ট্রনীতি ও লোক প্রশাসন বিভাগের ১ম বর্ষের রিমন, আশিকসহ ১০-১২ জনকে সঙ্গে নিয়ে মীর মশাররফ হোসেন ভবনের আইন বিভাগে ঘটনাস্থলে যায়। সে তার সমর্থদেরকে নিয়ে বিভাগের সিনিয়র শিক্ষার্থীদেরকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়। পরে ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতাকর্মীর মধ্যস্ততায় বিষয়টি সমাধান করা হয়।এদিকে আইন বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক ড. আব্দুল করিম খানকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অশ্লীল স্ট্যাটাস দেওয়ায় ওই বিভাগের শিক্ষার্থীসহ ক্যাম্পাসে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।এ বিষয়ে আইন বিভাগের মার্স্টাসের শিক্ষার্থী আবদুল আওয়াল ক্ষোভ প্রকাশ করে জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক ড. আব্দুল করিম খান স্যারকে জড়িয়ে ফেসবুকে অশ্লীল স্ট্যাটাস দেয় প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থী। বিষয়টি সম্পর্কে আমরা কয়েকজন শিক্ষার্থী জানতে গেলে তারা আমাদেরকেও লাঞ্ছিত করে। এ বিষয়ে আইন বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. শাহজাহান মন্ডল জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টি আমিও শুনেছি। ঘটনা সত্য হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এমএএস/আরআইপি

Advertisement