দেশজুড়ে

ডুবে গেছে সব, বিদ্যালয়ের ছাদে আশ্রয়

সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলায় যমুনার নদীর পানি বিপৎসীমার ১০২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। পানির প্রবল স্রোতে বিকল্প বাঁধের অন্তত ৬০ মিটার এলাকা ধসে পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

Advertisement

একই সঙ্গে উপজেলার চরাঞ্চলসহ মোট ৮৭টি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। প্রবল তোড়ে বন্যার পানি নাটুয়ারপাড়া কেবি উচ্চ বিদ্যালয় ও নিশ্চিন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয়, মেঘাই সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, মেঘাই দাখিল মাদরাসা ও মেঘাই কওমি মাদরাসায় প্রবেশ করেছে। এ অবস্থায় বিদ্যালয়ের ছাদে আশ্রয় নিয়েছেন স্থানীয়রা।

কাজিপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বিপ্লব সরকার বলেন, যমুুনার ভাঙন থেকে রক্ষায় উপজেলার মেঘাই, নতুন মেঘাই, পাইকড়তলী, কুনকুনিয়া ও পলাশপুর গ্রামের দেড় হাজার পরিবারকে রক্ষায় নির্মিত রিং বাঁধের মেঘাই আটাপাড়া অংশে মঙ্গলবার রাত ১০টার পর থেকে ধস দেখা দেয়। ধীরে ধীরে বিস্তৃত হয়ে বাঁধটির প্রায় ৬০ মিটার এলাকা ভেঙে যায়। এতে প্রবল বেগে পানি ঢুকে পড়ে ওই পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে যায়। ইতোমধ্যে পাঁচ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানি বৃদ্ধির ফলে কাজিপুর-ধুনট সড়কের আধা কিলোমিটার এলাকা ডুবে গেছে।

নাটুয়ারপাড়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বকুল সরকার বলেন, বন্যার কারণে কলেজ এক সপ্তাহের ছুটি দেয়া হয়েছে। কারণ শিক্ষার্থীরা কলেজে আসতে পারছে না।

Advertisement

মনসুরনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এবারের বন্যার ভয়াবহতা অনেক বেশি। ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুল- কলেজে যেতে পারছে না। দুইদিন আগে এক শিক্ষার্থী পানিতে ডুবে মারা গেছে। এতে করে অভিভাবকরা ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন না।

কাজিপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন বলেন, বন্যার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আরও শতাধিক প্রতিষ্ঠানে পানি উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ হাসান সিদ্দিকী বলেন, বন্যার পানি স্কুলে প্রবেশ করলেও কিছু বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা বিকল্প স্থানে পাঠদান করাচ্ছেন।

ইউসুফ দেওয়ান রাজু/এএম/পিআর

Advertisement