এইচএসসি পরীক্ষায় ফরিদপুর সদরে সবচেয়ে ভালো ফল করেছে সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজ। অপরদিকে সবচেয়ে খারাপ ফল করেছে বাখুন্ডা কলেজ। বুধবার এ পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়।
Advertisement
ফরিদপুর সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজ থেকে ব্যবসায় শিক্ষা, মানবিক ও বিজ্ঞান বিষয়ে এক হাজার ৬০৯ জন ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে এক হাজার ৩৬৮ জন। পাসের হার ৮৫ দশমিক ২ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫১ জন।
কলেজের সাফল্যর ব্যাপারে সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ সুলতান মাহমুদ বলেন, আমরা সব শিক্ষার্থীকে গভীর নজরদারির মধ্যে রেখেছি। যারা বার্ষিক পরীক্ষায় খারাপ করেছে তাদের অভিভাবকদের ডেকে এনে বিষয়টি বলেছি। যাতে তারা মেয়েদের পড়ার ব্যাপারে নজর রাখতে পারেন। এভাবে শিক্ষক ও অভিভাবকদের সম্মিলিত চেষ্টায় এ সাফল্য আমরা অর্জন করেছি।
এদিকে, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজে মোট ৮৬২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৭১৬ জন। পাসের হার ৮৩ দশমিক ৬। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৫ জন।
Advertisement
ফরিদপুর সরকারি ইয়াছিন কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়েছে এক হাজার ৭৯৫ জন। পাস করেছে এক হাজার ২৪০ জন। পাসের হার ৬৯ দশমিক ৮। জিপিএ-৫ পেয়েছে তিনজন।
এছাড়া ফরিদপুর মুসলিম মিশন কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ৩৬১ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ১৮৪ জন। পাসের হার ৫০ দশমিক ৯৭।
ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়েছে ৫৫০ জন। পাস করেছে ২৪০ জন। পাসের হার ৪০।
পাশাপাশি ফরিদপুর সিটি কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়েছে ৩৩৪ জন। পাস করেছে ১৪৮ জন। পাসের হার ৪৪ দশমিক ৩১। আলহাজ আব্দুল খালেক কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়েছে ২৭৩ জন। পাস করেছে ৮০ জন। পাসের হার ২৯ দশমিক ৩০। বাখুন্ডা কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়েছে ১০৩ জন। পাস করেছে ২৩ জন। পাসের হার ২২ দশমিক ৩৩।
Advertisement
কলেজের খারাপ ফলাফলের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বাখুন্ডা কলেজের অধ্যক্ষ মো. সেলিম মিয়া বলেন, দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে এমপিওভুক্ত না হওয়ায় শিক্ষকরা বিনা বেতনে কাজ করছেন। ফলে নিয়মিত পাঠদান করা সম্ভব হয় না। এই কলেজে ভালো শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয় না। নির্বাচনী পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলেও বিভিন্ন কারণে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ করে দিতে হয়। এ কারণে ফল ভালো হয়নি।
বি কে সিকদার সজল/এএম/এমএস