বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) গত ২৪ জুন প্রথমবারের মতো লিভার প্রতিস্থাপনে (ট্রান্সপ্ল্যান্ট) সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। এক মাসের কম সময়ের মধ্যেই লিভার প্রতিস্থাপনকারী ২০ বছর বয়সী যুবক ও লিভার দাতা ৪৭ বছর বয়সী গর্ভধারিণী মা সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।
Advertisement
আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাসপাতাল ত্যাগের ছাড়পত্র প্রদান করতে হবে। বুধবার সকালে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া এ খবরের সতত্য নিশ্চিত করে বলেন, লিভার গ্রহীতা (ছেলে) ও লিভার দাতা (মা) উভয়েই ভালো আছেন।
ইতিপূর্বে সংবাদ সম্মেলনে লিভার গ্রহীতাকে আরও ছয় সপ্তাহ হাসপাতালে থাকতে হবে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, রোগী সুস্থ হয়ে উঠলে তাকে আর হাসপাতালে রাখার প্রয়োজন পড়ে না। এ কারণেই তাকে রিলিজ দেয়া হবে।
আরও পড়ুন>> মায়ের দেয়া লিভারে নতুন জীবনের স্বপ্ন ছেলের
Advertisement
বিএসএমএমইউ সূত্র জানায়, আগামীকাল দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোবিলিয়ারি, প্যানক্রিয়েটিক ও লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জারি বিভাগের উদ্যোগে প্রথম লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জারি সফল সম্পন্ন করার পর রোগী ও লিভার দাতাকে ছাড়পত্র প্রদান বিষয়ে ডা. মিল্টন হলে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে। সাংবাদিক সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। মূল বক্তব্য তুলে ধরবেন হেপাটোবিলিয়ারি, প্যানক্রিয়েটিক ও লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. জুলফিকার রহমান খান।
গত ২৪ জুন বিএসএমএমইউতে প্রথমবারের মতো লিভার প্রতিস্থাপনে (ট্রান্সপ্ল্যান্ট) সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। ২০ বছর বয়সী এক যুবকের দেহে হেপাটোবিলিয়ারি, প্যানক্রিয়েটিক ও লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জারি বিভাগে এ সফল অস্ত্রোপচার করা হয়। লিভার প্রতিস্থাপনে সহযোগিতা করেন ভারতের খ্যাতনামা লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জন ড. বালাচান্দ্র মেনন ও তার চিকিৎসক দল।
২৪ জুন ভোর ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত অস্ত্রোপচার করা হয়। রোগীকে প্রথমে অ্যানেসথেসিয়া দিয়ে অজ্ঞান করা হয়। মোট ৬০ জনের টিম ঐতিহাসিক অস্ত্রোপচারে অংশ নেন।
এমইউ/এমএসএইচ/এমকেএইচ
Advertisement