আদালত শুধু শাস্তিই দিতে পারে। এমন ধারণা ঠিক নয়। আদালত চাইলে নাগরিককে মূলস্রোতে ফিরিয়েও আনতে পারে। এমনই এক নজির গড়েছে ভারতের রাঁচির নিম্ন আদালত।
Advertisement
রীচা ভারতী নামে এক কলেজ ছাত্রী সামাজিক মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক স্পর্শকাতর কিছু বিষয় নিয়ে পোস্ট করেছিলেন। ওই পোস্টে মুসলিমবিরোধী তথ্য প্রকাশ করা হয়েছিল। এর জের ধরে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। সামাজিকতা রক্ষা এবং ওই কলেজ ছাত্রীকে তার অপরাধ অনুধাবনের জন্য অভিনব রায় দিয়েছে রাঁচি আদালত।
আদালতের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই মামলায় রীচা ভারতীকে পাঁচটি কুরআন সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিলি করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট মণীশ কুমার সিং। আর একটি কুরআন দান করতে হবে সদর আঞ্জুমান কমিটির সদস্য অর্থাৎ ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করা মনসুর খলিফাকে।
১৫ দিনের মধ্যে এই কুরআন দান করতে হবে স্কুল এবং কলেজের পাঠাগারে। আর সবটাই করতে হবে পুলিশের উপস্থিতিতে। তাছাড়া ৭ হাজার টাকার দু’জন জামিনদারও জোগাড় করতে হবে ওই শিক্ষার্থীকে।
Advertisement
রীচা ভারতীর আইনজীবী রামপরবেশ সিং জানান, সামাজিক মাধ্যমে কিছু কন্টেন্ট পোস্ট করা হয়েছিল। তা দেখে অভিযোগ দায়ের করেন মনসুর খলিফা। গত ১২ জুলাই তার জের ধরে রীচাকে গ্রেফতার করে পিথোরিয়ার পুলিশ।
সেখানে বলা হয়, এই কন্টেন্টের জন্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হচ্ছে। পরে কিছু দক্ষিণপন্থী হিন্দু সংগঠন রীচার মুক্তির দাবিতে থানার বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। রীচা স্বয়ং আদালতের এই রায়ের সমালোচনা করে বিবৃতি দিলেও তাকে এই রায় মানতেই হবে। সেক্ষেত্রে একদিকে সম্প্রীতি বজায় থাকবে অন্যদিকে রীচা আর এমন কাজ করবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
টিটিএন/এমকেএইচ
Advertisement