দেশজুড়ে

শেরপুরে নিখোঁজের ১১দিন পর কাঠমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে নিখোঁজের ১১ দিন পর এক কাঠ মিস্ত্রির গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত আব্দুস ছামাদ ওরফে ফকির আলী (২৯) ঝিনাইগাতী উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নের দক্ষিণ ধানশাইল গ্রামের চাঁন মিস্ত্রির ছেলে। শুক্রবার নিহতের বাড়ির পাশের একটি পানির ডোবা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ১২ সেপ্টেম্বর দুপুরে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।  পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঝিনাইগাতীর দক্ষিণ ধানশাইল গ্রামের ৩ ছেলে ও ১ মেয়ের জনক আব্দুস ছামাদ ওরফে ফকির আলী ধানশাইল বাজারের বাগেরভিটা রোডে কয়েক বছর যাবৎ বাসা ভাড়া নিয়ে আসবাবপত্রের নক্সার কাজ করে আসছিলো। ১১ দিন আগে গত ১ সেপ্টেম্বর আকস্মিকভাবে তিনি নিখোঁজ হন। তার আত্মীয়-স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে গত ৯ সেপ্টেম্বর ঝিনাইগাতী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় লোকজন নিহতের বাড়ির পাশের ওই ডোবায় মাছ ধরতে গেলে তারা পানিতে ভাসমান অবস্থায় একটি মৃতদেহ দেখতে পান। নিহতের বড় ভাই আবুল কালাম মিস্ত্রি ঘটনাস্থলে গিয়ে তার ভাইয়ের মরদেহ শনাক্ত করেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেন। নিহতের ভাই আবুল কালাম মিস্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাই খুব নিরীহ প্রকৃতির ছিলো। সে কাঠ মিস্ত্রির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। কেউ হয়তো কোনো কারণে শক্রতা করে তাকে হত্যার পর লাশ ডোবায় এনে ফেলে রাখতে পারেন। আমরা ভাই হত্যার বিচার চাই। ঝিনাইগাতী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, এ ঘটনায় নিহতের বাবা চাঁন মিস্ত্রি বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মরদেহটি ডিকম্পোস্ট (গলিত) হওয়ায় মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ে ময়নাতদন্তের জন্যে মরদেহ শেরপুর জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হাকিম বাবুল/এমজেড/আরআইপি

Advertisement