জাতীয়

ডিসিদের ‘বিচারিক ক্ষমতা’ এখন নয় : আইনমন্ত্রী

জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) ফৌজদারি অপরাধ আমলে নিয়ে সংক্ষিপ্ত বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষমতা চাইলেও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘এটা এখন হবে না।’ মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের তৃতীয় দিনের চতুর্থ অধিবেশন শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের একথা জানান। আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সঙ্গে জেলা প্রশাসকদের এ কার্য অধিবেশন হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এতে সভাপতিত্ব করেন। ২০০৭ সালে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ আলাদা হওয়ার আগে এই ক্ষমতা ছিল ডিসিদের। বিগত বছরের ডিসি সম্মেলনগুলোতে ফৌজদারি অপরাধ আমলে নেয়াসহ বিচারিক ক্ষমতা চেয়ে আসছিলেন জেলা প্রশাসকরা। এবারও বিভিন্ন জেলার ডিসিরা লিখিতভাবে সেই প্রস্তাব দিয়েছেন। ডিসিদের ফৌজদারি অপরাধ আমলে নিয়ে সংক্ষিপ্ত বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষমতা চাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এটা করতে গেলে আইন সংশোধন করতে হবে। তাই এটা এখন হবে না। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে দেখা যাবে যে, এটার প্রয়োজন আছে কি না?’ উচ্চ আদালতে দায়ের হওয়া সরকারি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট মামলাগুলোর বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের দ্রুত অবহিত করতে এবং তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে ৫-৭ জন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের সমন্বয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে একটি সেল গঠন করা হবে বলে জানান আইনমন্ত্রী।

Advertisement

তিনি বলেন, এতে করে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের সঙ্গে জেলা প্রশাসকদের যোগাযোগ বাড়ানোর পাশাপাশি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়ার একটা ব্যবস্থা হবে। স্বাধীন প্রসিকিউশন সার্ভিস গঠনের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এখন যে প্রসিকিউশন সার্ভিস আছে এর ৩০ শতাংশ স্বাধীন প্রসিকিউশন সার্ভিস করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে পিপি-জিপিদের বেতন-ভাতার আওতায় আনার কথাও বিবেচনা করা হচ্ছে এবং এই প্রস্তাব ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেটা আজকের ডিসি সম্মেলনে অবহিত করা হয়েছে।’ এর আগে অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডিসিদের উদ্দেশে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের সামনে এগিয়ে চলার ক্ষেত্রে জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিসহ কিছু কিছু প্রতিবন্ধকতা আছে। এগুলোর ব্যাপারে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে। আপনাদের সহযোগিতায় আমরা এগুলো দমন করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারব ইনশাল্লাহ।’ অধিবেশনে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও আইন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সকল বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকরা উপস্থিত ছিলেন।

আরএমএম/জেএইচ/এমএস

Advertisement