জাতীয়

আমি ডিবি পুলিশ, আমাকে চেক করবা?

রাজধানীর খিলক্ষেত কুড়িল বিশ্বরোড রেলক্রসিং এলাকায় ভুয়া ডিবি পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজিকালে হুমায়ুন কবির (৩৮) নামে একজনকে আটক করেছে র‌্যাব-১।

Advertisement

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় র‌্যাব-১ এর সিপিসি-৩, পূর্বাচল ক্যাম্পের একটি দল ওই ব্যক্তিকে আটক করে।

র‌্যাব-১ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার (সিপিসি-৩) সহকারী পুলিশ সুপার সুজয় সরকার বলেন, গাজীপুরের বাসিন্দা কাজী রাসেল (২২) বন্ধু আরমানকে (২১) নিয়ে বনানীর কাকলী এলাকার ‘দি এজমাক’ নামক এজেন্সি অফিসের উদ্দেশে রওনা দেন। বিশ্বরোড রেলক্রসিং মোড়ের যাত্রী ছাউনির মোড়ে নেমে অন্য গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন তারা।

কিছু সময় পর একজন অপরিচিত ব্যক্তি এসে তাদের পরিচয় জিজ্ঞাসা করে এবং গন্তব্য জানতে চায়। পরিচয় দিয়ে রাসেল পাল্টা পরিচয় জানতে চাইলে ক্ষুব্ধ হয়ে রাসেল ও আরমানকে যাত্রী ছাউনির বামদিকে জোরপূর্বক নিয়ে যায়।

Advertisement

ওই ব্যক্তি নিজেকে ডিবি পুলিশের একজন কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দেয়। তখন ভুক্তভোগী বলেন, ‘আপনি কেন আমাকে এখানে নিয়ে আসলেন? জবাবে হুমায়ুন নামে ওই ভুয়া ডিবি সদস্য বলেন, ‘আমি ডিবির অফিসার, আপনাকে চেক করব’।

এর প্রেক্ষিতে রাসেল বলেন, ‘আপনি যদি ডিবির অফিসার হন তবে আপনার পরিচয়পত্র দেখান!’ তখন সে আরও ক্ষেপে যায়!

রাসেল বলেন, ‘আপনি যদি ডিবির অফিসার হবেন তাহলে এখানে কেন নিয়ে এসে চেক করছেন, সবার সামনে ওখানেই তো চেক করতে পারতেন!’

রাগান্বিত হয়ে হুমায়ুন নামে ওই ভুয়া ডিবি সদস্য বলেন, শুধু এখানে কেন, টয়লেটে নিয়েও আমরা চেক করতে পারি। এরমধ্যে জোরপূর্বক ভু্ক্তভোগীর কাছে থাকা ১৩ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন।

Advertisement

অস্বাভাবিক আচরণে সন্দেহ হলে বন্ধু আরমান উপস্থিত জনসাধারণকে ডেকে ডিবি অফিসার পরিচয় দেয়া ব্যক্তিকে আটক করেন। ছিনিয়ে নেয়া নগদ ১৩ হাজার টাকা এবং ভুক্তভোগী রাসেলকে উদ্ধার করেন।

ঘটনার তাৎক্ষণিক খবরে র‌্যাব-১, সিপিসি-৩, পূর্বাচল ক্যাম্পের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভুয়া ডিবি পুলিশ পরিচয় প্রদানকারী ওই প্রতারককে হাতেনাতে আটক করে।

র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে আটক হুমায়ুন জানান, খুলনা পলিটেকনিক্যাল কলেজ হতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের অধীনে চাকরিরত ছিলেন। শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও বিভিন্ন জালিয়াতির অপরাধে কয়েক মাস পূর্বে বরখাস্ত হন তিনি।

গাজীপুর জেলা ও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নিজেকে র‌্যাব, পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা পরিচয়ে সাধারণ জনগণের কাছে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন বলে স্বীকার করেন। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

জেইউ/জেএইচ/পিআর