জাতীয়

ওয়াজ-নসিহত শুনিয়ে ৩০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ!

ফারইস্ট ইসলামী মাল্টি কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের (এফআইসিএল) চেয়ারম্যান এবং মালিক শামীম কবিরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তার বিরুদ্ধে সিলেট থেকে ৩০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।

Advertisement

শামীমের বিরুদ্ধে ২৮টি মামলাও রয়েছে। গত সোমবার (১৫ জুলাই) সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম টিম তাকে গ্রেফতার করে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে সিআইডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

সিআইডি জানায়, শামীম কবির ইসলাম ধর্মকে পুঁজি করে ধর্মভীরু ও স্বল্প শিক্ষিত লোকজনদের টার্গেট করতেন। তাদের কোরআন-হাদিস শুনিয়ে এবং পাড়ায় পাড়ায় ওয়াজ মাহফিল করে অফিসে ডেকে বিনিয়োগে উৎসাহী করতেন। বিনিয়োগের মুনাফা হিসেবে তিনি লাখে মাসে ২ হাজার, কোনো কোনো ক্ষেত্রে আড়াই হাজার টাকা মুনাফা (সুদ) দেওয়ার কথা বলে লিফলেট প্রচার করতেন। পত্রিকায় লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিতেন।

Advertisement

২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার শুরুর পর থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মুনাফা দিয়ে গ্রাহক সংগ্রহ করেন। এর কিছুদিন পর টাকা দ্বিগুণ তিন গুণ করার স্কিম চালু করেন তিনি। ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন থানা এলাকায় বিশেষ করে প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকায় প্রায় ২৫টি অফিস খুলে আমানত সংগ্রহ করেন। এভাবে তিনিসহ তার সহযোগীরা মোট ২০ হাজার গ্রাহকদের তিনশ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন।

সিআইডি আরও জানায়, ২০১৩-১৪ সালে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দিয়ে তিনি কৌশলে আত্মগোপন করেন এবং প্রচার করতে থাকেন যে, এফআইসিএলের চেয়ারম্যান মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছে। শামীম কবিরের তথ্যমতে, আত্মসাৎকৃত বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়ে তিনি তার নিজ গ্রাম ও সিলেটের জৈন্তাপুর থানা এলাকায় প্রাসাদসম বাড়ি, চৌদ্দগ্রাম, কুমিল্লা সদর (দক্ষিণ), নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার, গাজীপুরের কালিগঞ্জ, কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানা, চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ডসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরে প্রায় ৪০ একর জমি কিনে রূপান্তর করেছেন।

এ ঘটনায় দুদক ২০১৫ সালে তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করে। মামলাটি এখনো তদন্তাধীন।

এআর/এসআর/পিআর

Advertisement