ফেনীর সোনাগাজীতে মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় ম্যানেজিং কমিটির বিষয়ে তদন্ত করে কারো বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কি-না তা এক মাসের মধ্যে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
Advertisement
এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
এর আগে গত ১১ এপ্রিল আদালত বলেছিলেন, এ মামলায় কোনো গাফিলতি হচ্ছে কি-না, তা খেয়াল রাখবেন। সাগর-রুনি, তনুসহ অন্যান্য মামলার মতো কোনোভাবেই যেন নুসরাতের মামলা হারিয়ে না যায়, তা হাইকোর্টের নজরে থাকবে।
নুসরাত হত্যার ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্ত চেয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব কথা বলেছিলেন।
Advertisement
৬ এপ্রিল ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি পরীক্ষা দিতে গেলে দুর্বৃত্তরা তার গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। গুরুতর অবস্থায় ওই দিন রাতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নুসরাত জাহান রাফি মারা যান।
এর আগে গত ২৭ মার্চ মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মামলা করেন নুসরাতের মা। এ মামলা তুলে নেওয়া এবং অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নুসরাত যা অভিযোগ করেছিলেন তা সব মিথ্যা—বলার জন্য চাপ দিতে থাকে দুর্বৃত্তরা। এতে নুসরাত ও তার পরিবার রাজি হয়নি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে লাইফ সাপোর্টে যাওয়ার আগে নুসরাত চিকিৎসকদের কাছেও জবানবন্দি দেন।
এফএইচ/এনএফ/জেআইএম
Advertisement