যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, ঝিনাই, জিঞ্জিরামসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে যমুনার পানি বিপৎসীমার রেকর্ড ১৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ রিডার আব্দুল মান্নান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
Advertisement
পানি বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে প্লাবিত হয়েছে মাদারগঞ্জ উপজেলার গুনারিতলা, আদার ভিটা ইউনিয়ন ও পৌরসভা, ইসলামপুর পৌরসভা, মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর, নাংলা, কুলিয়া, সরিষাবাড়ী উপজেলার ডোয়াইল ও কামরাবাদ ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা।
সবমিলিয়ে জেলার ৭ উপজেলার ৪৭ টি ইউনিয়ন ও তিনটি পৌরসভার অন্তত তিন লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি, খাবার ও গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। দুর্গতরা আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন উঁচু সড়ক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। দুর্গত এলাকায় কাজ না থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বানভাসিদের।
অধিকাংশ এলাকায় ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ করছেন দুর্গতরা। বিভিন্ন সড়কে পানি ওঠায় ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।
Advertisement
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি ওঠায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ২৭৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ২৯০ মেট্রিক টন চাল, নগদ ৩ লাখ টাকা ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে অভিযোগ বন্যা দুর্গতদের।
আসমাউল আসিফ/আরএআর/জেআইএম