বন্যা-কবলিত এলাকায় এমপি ও জেলা প্রশাসকদের প্রতিনিধি দিয়ে কমিটি করে কাজ করানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। তিনি বলেন, আমরা সকলে সম্মিলিতভাবে বন্যা মোকাবিলা করব।
Advertisement
এ সময় তিনি আরও বলেন, যে বন্যা হচ্ছে সেখানে আমাদের কিছু করার নেই। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশে বৃষ্টি হচ্ছে। সেই বৃষ্টির পানি প্লাবিত হয়ে বাংলাদেশে নেমে আসছে। এখানে পানির পরিমাণ এত বেশি যে নরমাল বাঁধ এই পানি ঠেকাতে পারবে না। যেখানে যেখানে নদী ভাঙন হচ্ছে, আমরা ইমার্জেন্সি কাজ করে সেটি ঠেকানোর চেষ্টা করছি।’
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকালে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে ডিসি সম্মেলনের তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাঁধ যেখানে যেখানে ভেঙে যাচ্ছে সেখানে আমরা কাজ করছি। কিছু জায়গায় ভেঙেও গেছে। সেটা আমরা আবার মেরামত করব। পানি থাকলে বাঁধ সংস্কার করা যাবে না। পানি কমে গেলে আমরা সংস্কার করতে পারব। ফেনীতে পানি কমে যাওয়ায় ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে।’
Advertisement
তিনি বলেন, ‘বর্ষাটা প্রাকৃতিক। পৃথিবীর আবহাওয়াতে একটা পরিবর্তন হচ্ছে। চীন-আমেরিকায় নদী ডুবে গেছে। এটা আবহাওজনিত কারণ, এখানে কিছু করা যাবে না। তবে যতখানি সম্ভব আমাদের এটি ঠেকাতে হবে। ড্রেজিং করে নদীতে নাব্যতা আনলে এটা কমে আসবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ভাটির দেশের মানুষ। উজান থেকে পানি নেমে আসবেই, আমাদের কিছু করার নেই। আমাদের অনেক বড় নদীতে চর পড়ে আছে। বর্ষাকাল আসলে নদী পানি ধারণ করতে পারে না। এই নদীগুলোতে আমরা ড্রেসিং করব।‘
ডিসিদের প্রতি বিশেষ কোনো নির্দেশনা ছিল কিনা জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমগুলো সম্পর্কে তাদের অবহিত করেছি। এখন যে বন্যা দেখা দিয়েছে, জেলা প্রশাসকরা তাদের এলাকায় গিয়ে তাদের কার্যক্রম শুরু করবে। আমরা সকলে সম্মিলিতভাবে বন্যাকে মোকাবিলা করব। আমরা বছরের প্রথম থেকেই আগাম বন্যার বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছিলাম। যে সকল এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ সেগুলো পরিদর্শন করতে ও সেখানকার সমস্যা চিহ্নিত করার জন্য।’
এ সময় পানিসম্পদ উপ-মন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
এমইউএইচ/এসআর/জেআইএম