বিয়ের পরে প্রথম কিছুদিন আকাশে উড়ে বেড়ানো যেন। কত স্বপ্ন সাজানো, ভবিষ্যত নিয়ে কত জল্পনা-কল্পনা। তারপর ধীরে ধীরে সংসারে জড়িয়ে যাওয়া। ঘরে নতুন অতিথি। নতুন করে এগিয়ে যাওয়া। আর এরই মধ্য দিয়ে কেমন করে যেন দুজনের ভেতর দূরত্ব চলে আসে। প্রথমদিকের সেই আবেগ, সেই নির্ভরতা অনেকটাই উধাও হয়ে যায় যেন। কিন্তু এমনটা কেন হয়? চাইলে কি প্রেমকে চিরনতুন করে রাখা যায় না? একটু চেষ্টা করলেই সম্ভব-
Advertisement
সহমর্মিতা: পারস্পারিক চমৎকার বোঝাপড়াই পারে যেকোনো সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখতে। শুধু তাই নয়, অপরজনের জায়গায় দাঁড়িয়ে এই সহমর্মিতার বোধ থাকতে হবে। সম্পর্কে পারস্পরিক সহানুভূতির জায়গা থাকলে আপনার সঙ্গীরও নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হবে। সফল বিয়ের জন্য এই পারস্পরিক বোঝাপড়াটা খুব দরকার।
প্রশংসা: একবার ভাবুন তো, নিজের প্রশংসা শুনতে আপনি ভালোবাসেন কি না? নিশ্চয়ই ভালোবাসেন। তাহলে আপনার সঙ্গীরও নিশ্চয়ই আপনার কাছ থেকে প্রশংসা শুনতে ভালোলাগবে। তাই ছোটখাটো ব্যাপারেও সঙ্গীর প্রশংসা করুন মন খুলে! দেখবেন তিনিও কেমন আপনাকে ভালোবাসায় আর সম্মানে ভরিয়ে দেন!
আপোস: সুসম্পর্ক বজায় রাখতে আপোসের মনোভাব থাকাও জরুরি। অপর একজন মানুষ কখনোই পুরোপুরি আপনার মনের মতো হবেন না। তেমনই আপনিও শতভাগ তার মনের মতো নন। তাই সম্পর্ক সুন্দর রাখতে ছোটখাটো ইগো বিসর্জন দিতে হবে, আপোস করার জন্যও তৈরি থাকতে হবে। মনে রাখবেন আপোস করা মানে ছোট হয়ে যাওয়া নয়। ছোটখাটো রাগ পুষে রাখবেন না, জীবনটাকে উপভোগ করতে শিখুন।
Advertisement
হাসুন: আপনার একটুখানি হাসিই পারে অনেক ক্লান্তি আর মন খারাপকে উড়িয়ে দিতে। তাই জীবনের ছোট ছোট আনন্দগুলো পুরোদমে উপভোগ করুন। নিজেদের নিয়ে মজা করতেও ছাড়বেন না। একসঙ্গে হাসতে পারলে, জীবনে রসবোধ থাকলে বাকি জীবনটাও আনন্দে ভরে উঠবে।
আস্থা রাখুন: স্বামী-স্ত্রী সম্পর্কটাই হলো আস্থা এবং নির্ভরতার। সঙ্গীর বিশ্বস্ততা নিয়ে সন্দেহ পুষে রাখবেন না, তেমন হলে কিন্তু আপনাদের সম্পর্ক টিকবে না। সন্দেহ, ভয়, এসব কাটিয়ে উঠুন, দেখবেন দাম্পত্যজীবন প্রথম দিনগুলোর মতোই ঝলমল করছে।
এইচএন/জেআইএম
Advertisement