সাহিত্য

শোক দিবসের রচনা লিখে পুরস্কৃত মিথুন

লেখক ও সাংবাদিক মিজানুর রহমান মিথুন জাতীয় শোক দিবস-২০১৫ উপলক্ষে রচনা লিখে পুরস্কৃত হয়েছেন। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়াধীন গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় গণগ্রন্থাগারের মহাপরিচালক জনাব আশীষ কুমার সরকার মিজানুর রহমান মিথুনে হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন। রাজধানীর শাহবাগস্থ পাবলিক লাইব্রেরীর সেমিনার এ পুরস্কার প্রদান উপলক্ষে এক বিশেষ অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছিলো।পুরস্কার গ্রহণ করে মিজানুর রহমান মিথুন বলেন, ‘হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবনের উপর রচনা লিখে পুরস্কার পেয়ে আমি ভীষণ আনন্দিত। এ ধরনের আয়োজনের জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি আশা করবো প্রতিষ্ঠানটি বাঙালির শ্রেষ্ঠ এ সন্তানকে নিয়ে এ ধরনের আয়োজন অব্যাহত রাখবে। তাহলে দেশের নতুন প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন এবং তার সীমহীন দেশপ্রেমের কথা জানতে পারবে।’উল্লেখ্য, মিজানুর রহমান মিথুন ১৯৯৮ সালের ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপক্ষে বাংলাদেশ বেতার আয়োজিত জাতীয় কবিতা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন। এর পর থেকেই তার লেখালেখির শুরু। তিনি বাংলা একাডেমির ‘তরুণ লেখক প্রশিক্ষণ কোর্সে’ ২০১১ সালে তৃতীয় ব্যাচে লেখালেখি প্রশিক্ষণের সুযোগ লাভ করেছিলেন। সেই সঙ্গে বাংলা একাডেমির সর্বকনিষ্ঠ সদস্যপদও লাভ করেছেন। ২০১১ সালে বাংলা একাডেমির লোকজ সংস্কৃতির সংগ্রাহক নির্বচিত হয়েছেন।বাংলা একাডেমি থেকে তার ‘ঝালকাঠি জেলার লোকজ সংস্কৃতি’ শীর্ষক একটি বই প্রকাশিত হয়েছে। ২০১০ সালের একুশের বই মেলায় ‘ছোটদের মেলা সেরা বই’ পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৪ সালে তিনি জাতীয় শিক্ষক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রণীত তৃতীয় থেকে একাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাথীদের জন্য দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত গল্পের লেখক নির্বাচিত হয়েছেন। মিজানুর রহমান মিথুনের প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- ‘তিনি আমাদের জাতির পিতা’, ‘রাসেল তুমি ফিরে এসো’, ‘নতুন সপ্তাশ্চার্য’, ‘যে ভূতটা বই পড়তে এসেছিলো’, ‘ফার্স্ট গার্ল সেকেন্ড বয়’, ‘ফুল বালিকা’, ‘ট্যালেন্টপুল টমি’, ‘মিষ্টি মেয়ে টুকটুকি’, ‘বৃষ্টির সাথে দেখা’, ‘হৃদয়ে হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু’, ‘মেঘলা আকাশ’ও ‘ক্লাসের বাইরে একদল দুষ্টু`। বর্তমানে তিনি দৈনিক যায়যায়দিনের সহ-সম্পাদক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।এইচএন

Advertisement