সাবেক রাষ্ট্রপতি, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুতে শোক বইতে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা।
Advertisement
সোমবার বেলা ১১টা থেকে বিকের ৪টা পর্যন্ত জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী অফিসে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের রাজনৈতিক আদর্শ এবং সাফল্য নিয়ে মন্তব্য করেন তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের আর্ল ই মিলার, জার্মানির পিটার ফারেন হোলটজ, কুয়েতের রাষ্ট্রদূত আদেল হায়াত, ভারতের রাষ্ট্রদূত রিভা গাঙ্গুলী দাশ, ফিলিস্তিনের ইউসেফ এস ওয়াই রামাদান, যুক্তরাজ্যের রবার্ট সি ডিকসন এবং আফগানিস্তানের প্রথম সেক্রেটারি শোক বইয়ে সই করেছেন।
তারা প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের উন্নয়ন এবং সংস্কারমূলক কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রসংসা করেন। নিজ নিজ দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আবদানের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন তারা। এ ছাড়া এরশাদের আদর্শ লালন করে জাতীয় পার্টি বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূতরা।
Advertisement
এর আগে সকাল সোয়া ১০টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় এরশাদের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর দুপুর ১২টায় এরশাদের মরদেহ কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নেয়া হয়। সেখানে নেতাকর্মীসহ সর্বসাধারণ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বিকেল ৫টায় সাবেক রাষ্ট্রপতির মরদেহ ফ্রিজার ভ্যানে বায়তুল মোকাররম মসজিদে নেয়া হয়। সেখানে তৃতীয় জানাজা শেষে মরদেহ নেয়া হয় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের হিমঘরে। মঙ্গলবার সকালে এরশাদের মরদেহ নেয়া হবে তার নিজের এলাকা রংপুরে। সেখানে চতুর্থ জানাজার পর মরদেহ ঢাকায় ফিরিয়ে এনে বিকেলে সেনানিবাস কবরস্থানে দাফন করা হবে এরশাদকে।
ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার (১৪ জুলাই) সকাল পৌনে ৮টায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এরশাদ।
৯০ বছর বয়সী এরশাদ রক্তে সংক্রমণসহ লিভার জটিলতায় ভুগছিলেন। গত ২২ জুন সিএমএইচে ভর্তি করা হয় তাকে। এর আগেও তিনি একাধিকবার দেশ-বিদেশে চিকিৎসা নেন।
এইউএ/এনডিএস/জেআইএম
Advertisement