রাজনীতি

যশোর জেলা জাপার সম্মেলন রোববার

পাঁচ বছর পর রোববার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যশোর জেলা জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন। এ সম্মেলনকে ঘিরে যশোর শহরে সাজ সাজ রব পড়েছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও ভবনে কেন্দ্রীয় নেতাদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণ তৈরি করা হয়েছে।জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের আগমন উপলক্ষে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে সম্মেলন আয়োজনের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি। রোববার সকাল ১০ টায় জিলা স্কুল অডিটোরিয়ামে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।দলীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ২৩ নভেম্বর জেলা জাতীয় পার্টির সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে শরিফুল ইসলাম সরু চৌধুরীকে সভাপতি ও আলতাফ হোসেন রাজীবকে সাধারণ সম্পাদক করে ১১০ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। চার বছর পর গত ২৬ ডিসেম্বর মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে শরিফুল ইসলাম সরু চৌধুরীকে আহ্বায়ক ও মিনহাজুল আরেফিনকে সদস্য সচিব করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি রোববার সকাল ১০ টায় জিলা স্কুল অডিটোরিয়ামে সম্মেলনের আয়োজন করেছে।সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ। সম্মেলনের প্রধান বক্তা থাকবেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন পার্টির প্রেসিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, সুনীল শুভ রায়, তাজ রহমান ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া। এতে সভাপতিত্ব করবেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম সরু চৌধুরী।সম্মেলনে জেলার ৭৪০জন কাউন্সিলর অংশগ্রহণ করবেন। সভাপতি পদে শরিফুল ইসলাম সরু চৌধুরীর প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ নেই। তিনিই একমাত্র সভাপতি প্রার্থী। সাধারণ সম্পাদক পদে মিনহাজুল আরেফিন, জহিরুল হক জহির ও অ্যাডভোকেট আমির হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ঘিরে জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। ইতোমধ্যে শার্শা ও বাঘারপাড়া বাদে বাকি সকল উপজেলা কমিটি নতুন করে গঠন করা হয়েছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ১১টি বিশাল তোরণ তৈরি করা হয়েছে। একই সঙ্গে সম্মেলন সফল করার আহ্বান জানানো হয়েছে।সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব মিনহাজুল আরেফিন জাগো নিউজকে বলেন, সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের স্বাগত জানিয়ে শহরে ১১টি তোরণ তৈরি করা হয়েছে। একই সঙ্গে শহরের বিভিন্ন স্থানে শুভেচ্ছা জানিয়ে ব্যানার ফেস্টুন লাগানো হয়েছে। সম্মেলন ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।তিনি আরো বলেন, দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতিতে উৎসবমুখর পরিবেশে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এ সম্মেলনে ৮ উপজেলার ৭৪০জন কাউন্সিল ছাড়াও পাঁচ হাজার নেতাকর্মীর সমাগম ঘটবে।মিলন রহমান/এসএস

Advertisement