মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন পাঞ্জাবের প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতা নভজ্যোত সিংহ সিধু। গত মাসে তিনি সদ্যবিদায়ী কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধীর কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেন। রোববার টুইট করে নিজের পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন সিধু।
Advertisement
ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিক বনে যাওয়া এই নেতা পদত্যাগের ছবি টুইটারে পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আমি পাঞ্জাবের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করছি।’ গত ১০ জুন রাহুল গান্ধী এবং সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে তিনি তার পদত্যাগের কথা জানান।
সিধু আগেই বলেছিলেন যে, রাহুল গান্ধী যদি উত্তর প্রদেশের আমেথিতে হেরে যায় তাহলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর কথা রাখতেই বুঝি এমন সিদ্ধান্ত নিলেন সিধু।
ভারতীয় টেলিভিশন এনডিটিভির অনলাইন প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, নভজ্যোত সিংহ সিধু তার পদত্যাগপত্র পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের কাছে পাঠাবেন। এ ছাড়া সিধু নিজেও অন্য একটি টুইটে জানিয়েছেন, ‘আমি পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমার পদত্যাগপত্র পাঠাচ্ছি।’
Advertisement
আরও পড়ুন> সিঁদূর পরলেও আমার ঈমান ঠিক আছে : নুসরাত
গত ৬ জুন পঞ্জাবের মন্ত্রিসভায় ব্যাপক রদবদল করা হয়। সেই তালিকায় ছিলেন নভজ্যোত সিং সিধুও। পাঞ্জাবের পর্যটন ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বদলে তাকে দেওয়া হয় বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। কিন্তু তিনি নতুন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করার আগেই পদত্যাগ করলেন।
মন্ত্রিসভায় রদবদল হওয়ার পর গত ৮ জুন মুখ্যমন্ত্রীর একটি বিশেষ কমিটি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন সিধু। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির দায় চাপান সিধুর ওপর। তবে কী কারণে পদত্যাগ করেছেন তা জানান নি সিধু।
মুখ্যমন্ত্রী সিধুর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, ‘তিনি নিজের মন্ত্রণালয় ঠিকমত সামলাননি বলেই পাঞ্জাবের বেশ কিছু অঞ্চলে খারাপ করেছে কংগ্রেস।’ তবে পাঞ্জাবের ১৩টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৮টিতে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস।
Advertisement
লোকসভা নির্বাচনে গতবারের মতো এবারও মোদির বিজেপির কাছে বিপুল আসনে হেরেছে ভারতের শতাব্দী প্রাচীন রাজনৈতিক দল কংগ্রেস। পরাজয়ের দায় নিজের কাঁধে নিয়ে পদত্যাগ করেছেন দলটির সভাপতি রাহুল গান্ধী।
এ ছাড়া গোটা ভারতে কংগ্রেসের নেতারা হয় পদত্যাগ করছেন নয়তো বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। কংগ্রেসের বেশ কয়েকটি রাজ্য সরকারও পতনের মুখে। আরও বেশ কিছু নেতা দলবদল নয়তো পদত্যাগ করতে পারেন বলে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর খবরে জানা গেছে। এসএ/এমকেএইচ