অর্থনীতি

আড়াই মাস আগের অবস্থানে ডিএসইর প্রধান সূচক

টানা দরপতনের প্রভাবে আড়াই মাস আগের অবস্থানে ফিরে গেছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স। সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে লেনদেন খরাও। তারল্য ও বিনিয়োগকারীদের আস্থা সংকটে শেয়ারবাজারে এমন দুরবস্থা বিরাজ করছে বলে অভিমত বিশ্লেষকদের।

Advertisement

তারল্য ও বিনয়োগকারীদের আস্থা সংকটে ধুকতে থাকা শেয়ারবাজারে রোববার লেনদেনের শুরুতেই নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে পতনের মাত্রা। ফলে লেনদেন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচকের বড় পতন হয়েছে। এর মাধ্যমে টানা ছয় কার্যদিবস দরপতন হলো।

রোববার লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৪২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১৭৯ পয়েন্টে। এর মাধ্যমে ডিএসইর এ সূচকটি ২ মাস ১৫ দিন বা ৪৬ কার্যদিবসের মধ্যে সর্বনিম্নে অবস্থানে নেমে গেছে। এর আগে গত ২৯ এপ্রিল সূচকটি ৫ হাজার ১৭৫ পয়েন্টে ছিল।প্রধান মূল্য সূচকের বড় পতনের পাশাপাশি ডিএসইর অপর দুই সূচকেরও পতন হয়েছে। এর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৫৩ পয়েন্টে নেমে গেছে। আর শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৯০ পয়েন্টে।

সব সূচকের পতনের পাশাপাশি বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৬৩ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার বিপরীতে কমেছে ২৬৯টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টির দাম।

Advertisement

এদিকে মূল্য সূচকের পতন ও বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ সামান্য বেড়েছে। তবে লেনদেনের পরিমাণ ৩০০ কোটি টাকার ঘরেই আটকে আছে। দিনভর বাজারটিতে ৩৫৪ কোটি ৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩৫১ কোটি ৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ লেনদেন বেড়েছে ২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।

টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৬ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফরচুন সুজের ১৪ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর ১১ কোটি ৪৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে এমএল ডাইং।

এ ছাড়া বাজারটিতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ঢাকা ইন্স্যুরেন্স, ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স, মুন্নু সিরামিক, সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স, এশিয়ার টাইগার সন্ধানী লাইফ গ্রোথ ফান্ড এবং গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৯১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৮৮১ পয়েন্টে। বাজারটিতে হাত বদল হওয়া ২৭০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৬০টির, কমেছে ১৯৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টির দাম। মোট লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।

Advertisement

এমএএস/এনডিএস/এমকেএইচ