পাইলটদের মধ্যে অসন্তোষ কমাতে একদিনের মাথায় ফ্লাইট অপারেশন পরিচালক (ডিএফও) পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো বিতর্কিত ও জুনিয়র পাইলট ক্যাপ্টেন মাহাতাবকে। আবারও ক্যাপ্টেন ফরহাত হাসান জামিলকে ডিএফওর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার বিকেলে অফিস বন্ধের আগ মুহুর্তে জারি করা আগের প্রশাসনিক আদেশটি রোববার অফিস খোলার সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যাহার করে নেয়া হয় বলে জানিয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স প্রশাসনের মহাব্যবস্থাপক মো. আজিজুল ইসলাম।
বিমান সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার এই আদেশ জারির পর থেকে পাইলটদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা যায়। শুক্রবার বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশের পর বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হক বিমান কর্তৃপক্ষের কাছে ঘটনার কারণ জানতে চান। সন্তোষজনক জবাব না পাওয়ায় তিনি তিনি পূর্বের অবস্থা বহাল করতে বলেন। এর সূত্র ধরে বিমান কর্তৃপক্ষ আজ আদেশটি বাতিল করেন।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ক্যাপ্টেন মাহাতাবকে অপারেশন পরিচালকের (ডিএফও) (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্ব দেয়ায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলটদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দানা বাধতে শুরু করে। বিমানের অপারেশন ম্যানুয়াল না মেনেই কমপক্ষে ৫০ জন যোগ্য ও সিনিয়র পাইলটকে বাদ দিয়ে ক্যাপ্টেন মাহতাব নামে এক পাইলটকে ডিএফও পদে বসানো হয় বলে অভিযোগ তোলেন পাইলটদের অনেকে।
Advertisement
২০১০ সালে ক্যাপ্টেন মাহতাব ছিলেন বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক। সে সময়ে বিমান পরিচালনা পর্ষদ পরিচালক প্রশাসন আমিনুল হককে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে চাকরিচ্যুত করা হয়। এর জের ধরে ও ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠতার কারণে ক্যাপ্টেন মাহতাব বাপার প্রভাব খাটিয়ে আন্দোলনের ডাক দেন। ওই সময় টানা ১০ দিন বিমানের অপারেশন বন্ধ ছিল। অচল ও স্থবির হয়ে পড়ে বিমান। ওই সময় হজ মৌসুম ছিল বলে চরম বেকায়দায় পড়ে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। এতে বিমান ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।
এসব নানা কারণে ক্যাপ্টেন মাহতাবের ভূমিকা ছিল বিতর্কিত। হজ মৌসুমে ধর্মঘট করে বিমান তথা সরকারের ভাবমূর্তি নষ্টের কারণে পরবর্তীতে ক্যাপ্টেন মাহতাব ও ক্যাপ্টেন শাহ আলমকে (বর্তমানে কাতার এয়ারওয়েজ কর্মরত) বিমান থেকে চার্জশিট দেয়া হয়। ক্যাপ্টেন শাহ আলম সম্প্রতি বিমানের এমডি পদের জন্য দরখাস্ত জমা দিয়েছেন।
আরএম/এনএফ/জেআইএম
Advertisement