‘তোমাদের পাশে এসে বিপদের সাথী হতে আজকের চেষ্টা অপার। তোমাদের সাথে মিশে সব ব্যথা বুকে নিয়ে আমিও যে হব একাকার....... আজকের চেষ্টা অপার।’
Advertisement
গানটি বাজলেই মনে হয় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কথা। কালোত্তীর্ণ এই দেশাত্মবোধক গান যখন বাজত তখন টেলিভিশনের পর্দায় দেখা যেত কখনও এরশাদ হাঁটু পানিতে, কখনও বা কোমর পানিতে নেমে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করছেন।
১৯৮৮ সালে বাংলাদেশে ভয়াবহ বন্যা হয়। সেই বন্যাকে একটি ট্রেডমার্ক করে রাখা হয়েছে। ৮৮ সালেই শতবর্ষী অনেক মানুষের মতে, এত বড় বন্যা দেশে আর কখনও হয়নি। গ্রামে-গঞ্জে অনেক স্থাপনায় এখনও দাগ দেয়া আছে ৮৮ সালের বন্যায় কী পরিমাণ পানি হয়েছিল। সেই বন্যায় এদেশের মানুষের মধ্যে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে এসেছিল।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ৮৮’র বন্যার সময় এ দেশের মানুষের মাঝে ত্রাণসমাগ্রী পৌঁছে দিয়েছিলেন। এছাড়া এ দেশের মানুষ যেন ভেঙে না পড়েন, মানুষ যেন আবার শক্তি সঞ্চার করে জেগে উঠতে পারেন সে জন্য তিনি লিখেছেন কালোত্তীর্ণ এই দেশাত্মবোধক গান।
Advertisement
‘তোমাদের পাশে এসে বিপদের সাথী হতে আজকের চেষ্টা অপার। তোমাদের সাথে মিশে সব ব্যথা বুকে নিয়ে আমিও যে হব একাকার....... আজকের চেষ্টা অপার।’
এই গানের মাধ্যমে তিনি বলেছেন, তোমাদের সাথে আমি আছি। তোমরা সাহস রাখ। আজ যে ফসলের ক্ষেত ভেসে যাচ্ছে তা আবার সবুজে ভরে যাবে। আজ যে গোলা বন্যার স্রোতের তোড়ে ভেসে যাচ্ছে সেই গোলা আবার ভরে যাবে।
তিনি আরও বুঝাতে চেয়েছেন, সর্বশক্তিমান আল্লাহ আমাদের সাথে আছেন আমরা কোনো ভয় করব না। নতুন করে ক্ষেত ফসলে ভরে তুলব এবং আমরা বিজয়ের ইতিহাস রচনা করব।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৮২ সাল থেকে ৯ বছর এ দেশ শাসন করেছেন। কখনও তিনি স্বৈরাচার, কখনও তিনি পল্লীবন্ধু উপাধি পেয়েছেন। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বরের পর এরশাদপরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে তৃতীয় স্থানে অবস্থান নিয়ে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলে ছিলেন।
Advertisement
কখনও চারদলীয় জোটের বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে আবার কখনও মহাজোটের নেতা শেখ হাসিনার সঙ্গে জোট করে তাদের ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছেন এইচ এম এরশাদ।এফএইচএস/বিএ/জেআইএম