ক্যাম্পাস

৪৬ বছর পর নির্মিত হচ্ছে ড. জোহার স্মৃতিফলক

৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানে প্রফেসর ড. শামসুজ্জোহা শহীদ হওয়ার ৪৬ বছর পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নির্মিত হতে যাচ্ছে ড. জোহার স্মৃতিফলক। রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা স্মৃতিফলকটি নির্মাণের জন্য সরকারি বিশেষ তহবিল থেকে এক কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বিশ্ববিদ্যলয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহম্মদ মিজানউদ্দিনের বাস ভবনের কার্যালয়ে এ বরাদ্দের কথা জানিয়ে লিখিত চিঠি দেন। চিঠিতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে স্মৃতিফলক নির্মাণে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলেন।তবে ড. জোহা শহীদ হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে মহান এ শিক্ষককে স্মরণে ক্যাম্পাসে একটি স্মৃতিফলক নির্মাণের দাবি করা হলেও তা পূরণ হয়নি। অবশেষে স্মৃতিফলক নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।এ বিষয়ে সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা জাগো নিউজকে বলেন, ঊনসত্তরের গণআন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধে শিক্ষকদের যে অবদান-আত্মত্যাগ সেটা শুধু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেই নয়; দেশের সকল শিক্ষকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তবে ড. শামসুজ্জোহা হলেন এর পুরধা। শিক্ষার্থীদের ভাবতে হবে, ছাত্রদের বাঁচাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সামনে কিভাবে নিজের বুক পেতে দিয়েছিলেন তিনি। এজন্য এ বিশ্ববিদ্যালয়ে তার স্মৃতিফলক নির্মাণ খুবই জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মিজানউদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় যে জন্য গর্ববোধ করে থাকে তা হচ্ছে স্বাধীনতার প্রাথমিক সোপান রচনায় প্রথম বুদ্ধিজীবী শহীদ ড. শামসুজ্জোহার অবদান। কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাও ড. জোহা সম্পর্কে তেমন কিছু জানে না। তিনি আরো বলেন, এখানে যারা পর্যটক হিসেবে আসেন তাদের জানানোর জন্য কোনো ব্যবস্থা ক্যাম্পাসে নেই। যা খুবই হতাশাজনক ছিল। আর্থিক সমস্যার কারণে স্মৃতিফলক নির্মিত হয় নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা এ বিষয়ে এগিয়ে এসেছেন। আশা করছি শিগগিরই ড. জোহার স্মৃতিফলক নির্মাণের কাজ করা সম্ভব হবে।উল্লেখ্য, ১৯৬৯ সালে ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গুলিতে নির্মমভাবে শহীদ হন বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রক্টর ও রসায়ন বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. শামসুজ্জোহা। রাশেদ রিন্টু/এসএস/এমএস

Advertisement