প্রেগনেন্সি থেকে টেনিস কোর্টে ফেরার কয়েক মাসের মধ্যেই দুটি গ্র্যান্ডস্লামের ফাইনাল খেলেন সেরেনা উইলিয়ামস। কিন্তু কোনোটাতেই শিরোপা ছুঁয়ে দেখা হয়নি তার। এর পর মাঝে দিয়ে কিছুটা অফ ফর্মে ছিলেন মার্কিন এই টেনিস তারকা। কিন্তু এই বছর উইম্বলডনের ফাইনালে উঠে আবারো নিজের চিরচেনা রূপে ফিরে আসেন।
Advertisement
তবে ফাইনালে আরও একবার ব্যর্থতার ঘানিই টানতে হলো সাবেক নাম্বার ওয়ানকে। আজ (শনিবার) ফাইনালে রোমানিয়ার সিমোনা হালেপের কাছে ৬-২, ৬-২ সরাসরি সেটে হেরে গেছেন মার্কিন কৃষ্ণকলি। আর সেরেনাকে হারিয়ে অঘটনের জন্ম দিলেন হালেপ। ফ্রেঞ্চ ওপেনের পর প্রথমবারের মতো উইম্বলডনের শিরোপা জিতে ইতিহাস গড়েছেন রোমানিয়ান এই টেনিস ললনা।
ম্যাচের শুরু থেকেই সেরেনার বিরুদ্ধে দাপট দেখাতে থাকেন হালেপ। তার দাপটের কাছে এক প্রকার মাথা নুইয়ে ফেলেন টেনিসের জীবন্ত কিংবদন্তি সেরেনা। মাত্র ৫৬ মিনিটেই প্রথম দুই সেট সমান ব্যবধানে হারার পর তৃতীয় সেট খেলার দরকারই পরেনি। ফলে নিজের ২৪ তম গ্র্যান্ডস্লাম পাওয়া থেকে আবারো বঞ্চিত হলেন সেরেনা। ছুঁতে পারলেন না অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি খেলোয়াড় মার্গারেট কোর্টের নেয়া ২৪ গ্র্যান্ডস্লামের রেকর্ড।
প্রথম বারের মতো উইম্বলডনের শিরোপা জেতাটা যে কারও কাছেই একটা বিশেষ মুহূর্ত। ব্যতিক্রম নয় হালেপের কাছেও। শিরোপা জেতার পর তিনি বলেন, ‘এই ম্যাচের আগে আমার পেটের অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না। কিন্তু আমি কোর্টে এসে নিজের সেরাটা দিয়েছি। এটা সত্যিই বিশেষ একটা মুহূর্ত, আমি কখনোই এই দিনটা ভুলব না। এটা আমার মায়ের স্বপ্ন ছিল। যখন আমার বয়স ১০ বা ১২ ছিল, তখন তিনি বলেছিলেন, আমাকে উইম্বলডনের ফাইনাল খেলতে হবে।’
Advertisement
অসহায় ভাবে হারলেও হালেপকে যোগ্য কৃতিত্ব দিয়েছেন সেরেনা। তিনি বলেন, ‘সে তার সীমার বাইরে থেকে খেলেছে। যখনই কোনো খেলোয়াড় এমনভাবে খেলে, তখন আপনাকে তার প্রতি টুপি খোলা সম্মান দিতে হয়। এখানে আসতে, আপনাদের সামনে আমি খেলতে ভালোবাসি। আর এটা আমাকে খুব আনন্দ দেয়।’
এএইচএস/এমএমআর/পিআর