রাজধানী ঢাকাকে বিশ্বের আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তুলতে চায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। সেই লক্ষ্যে ঢাকাকে বাসযোগ্য এবং আরও উন্নত শহর হিসেবে গড়ে তুলতে প্রক্রিয়াধীন ডিটেইল এরিয়া প্ল্যানে (ড্যাপ) নতুন কর্মকৌশল যুক্ত হচ্ছে।
Advertisement
রাজউকের উদ্যোগে প্রণয়ন ড্যাপে নতুন কর্মকৌশলের মধ্যে রয়েছে- ভূমি পুনর্বিন্যাস, উন্নয়ন স্বত্ব প্রতিস্থাপন পন্থা, ভূমি পুনঃউন্নয়ন, ট্রানজিটভিত্তিক উন্নয়ন, উন্নতিসাধন ফি, স্কুল জোনিং ও ডেনসিটি জোনিং। সংশোধিত ড্যাপে নতুন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে রাজউকের আওতাধীন এলাকার বিদ্যমান চেহারা বদলে যাবে। পুরান ঢাকাসহ রাজধানীর অনেক ঘিঞ্জি ও অপরিকল্পিত এলাকা নতুন করে সাজানো হবে এর মধ্যমে।
সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষের বোঝার উপযোগী করে মাতৃভাষা বাংলায় প্রণয়ন হবে সংশোধিত ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান বা বিশদ নগর অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ)। রাজউকের এক হাজার ৫২৮ বর্গকিলোমিটার এলাকার জন্য ২০ বছর মেয়াদের এ পরিকল্পনা ২০৩৫ সাল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, ভূমি পুনঃউন্নয়নের মাধ্যমে পুরান ঘিঞ্জি জনপদকে ভেঙে নতুন করে গড়ে তোলা সম্ভব হবে। সিঙ্গাপুর, জাপান, কোরিয়াসহ পৃথিবীর অনেক দেশ এমন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে পুরান শহরগুলোকে আধুনিক শহরে রূপ দিয়েছে।
Advertisement
ড্যাপের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানান, সম্প্রতি পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডের পর ওই এলাকায় ছয়টি স্থানসহ মোট সাতটি স্থানে ভূমি পুনঃউন্নয়ন পদ্ধতি প্রয়োগের জন্য প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজউক। এখন এটি প্রকল্প আকারে রূপ দেয়া হবে। এ পদ্ধতিতে ছোট ছোট প্লটগুলো এক করে বড় আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। ভূমি পুনঃবিন্যাসের মাধ্যমে নির্দিষ্ট এলাকার বাসিন্দাদের একত্রিত করে সড়ক, উন্মুক্ত স্থান, পুকুর, খেলার মাঠসহ অন্যান্য নাগরিক সুবিধা সৃষ্টি করা হবে।
রাজউক সংশোধিত ড্যাপে ভূমি পুনঃউন্নয়ন, ভূমি পুনঃবিন্যাস, ট্রানজিটভিত্তিক উন্নয়নসহ বেশকিছু নতুন কর্মপরিকল্পনার সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে ঢাকাকে আরও উন্নত করা সম্ভব হবে।
রাজউকের এক হাজার ৫২৮ বর্গকিলোমিটার এলাকার জন্য ২০ বছর মেয়াদে এ পরিকল্পনা ২০৩৫ সাল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। পাঁচ বছর মেয়াদে প্রথম ড্যাপ মাস্টার প্ল্যান প্রথম প্রণয়ন হয়েছিল ২০১০ সালে। ২০১৫ সালে প্রথম ড্যাপের মেয়াদকাল শেষ হয়। বর্তমানে ওই ড্যাপের সময় বৃদ্ধি করে নগরীর উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে রাজউক।
নতুন ড্যাপে উল্লেখযোগ্য একটি বিষয় হচ্ছে সাধারণ মানুষের বোঝার উপযোগী করে সংশোধিত ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান বা বিশদ নগর অঞ্চল পরিকল্পনা মাতৃভাষা বাংলায় প্রণয়ন। এ বিষয়ে ড্যাপের প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল ইসলাম বলেন, সংশোধিত ড্যাপ জনবান্ধব করতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা সে অনুযায়ী কাজ করছি। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষ নতুন ড্যাপের মহাপরিকল্পনাটি যেন সাচ্ছন্দ্যে ও ভালোভাবে বুঝতে পারেন সে কারণে ড্যাপ বাংলায় প্রণয়ন হচ্ছে।
Advertisement
এএস/এমএআর/এমকেএইচ