সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। শনিবার দুপুর পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৮৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সেই সঙ্গে সকাল থেকেই মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে।
Advertisement
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যমতে, শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানির বিপৎসীমার ৮৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৮৫ মিলিমিটার।
এদিকে সুরমা নদীতে অপরিবর্তিত থাকলেও হাওরে পানি বেড়েই চলছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন জেলার ১৩ হাজারেরও বেশি পরিবার। বিশেষ করে তাহিরপুর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। তাছাড়া গত সোমবার থেকেই তাহিরপুর ও মঙ্গলবার থেকে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সঙ্গে জেলা সদরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
এদিকে সুনামগঞ্জ শহরের নবীনগর এলাকায় বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করায় লক্ষাধিক মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
Advertisement
তাহিরপুরের বাদাঘাট এলাকার নন্দন রায় বলেন, ‘আজ ৬ দিন হল পানিবন্দি অবস্থায় আছি। আমাদের এখানে এখনও কোনো সাহায্য আসেনি। পরিস্থিতি এতোই খারাপ যে বাইরে গিয়ে খাবার নিয়ে আসব তাও পারা যাচ্ছে না।’
শহরের নবীনগর এলাকার বাসিন্দা রাসেল আহমেদ বলেন, ‘পাহাড়ি ঢল ও সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদের এখানে একটি বাঁধ ভেঙে গেছে। এ কারণে নবীনগরের সঙ্গে ৩টি ইউনিয়নের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।’
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিক ভূঁইয়া বলেন, রাতে বৃষ্টি না হওয়ায় সুরমা নদীতে পানি বাড়েনি। কিন্তু সকাল থেকে ফের মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ায় নদীর পানি আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, জেলার সব জায়গায় আমাদের জরুরি টিম গঠন করা হয়েছে। তাছাড়া যেসব এলাকায় লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সেখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে শুকনা খাবার দেয়া হচ্ছে।
Advertisement
মোসাইদ রাহাত/এমএমজেড/জেআইএম