রাজনীতি

ধর্ষণ-হত্যা নিয়ে জামায়াতের উদ্বেগ

দেশে ধর্ষণ-হত্যার ঘটনা বেড়ে গেছে দাবি করে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, ‘দেশে ধর্ষণ, হত্যা বিশেষ করে কন্যা শিশুদের ধর্ষণ ও হত্যা ক্রমাগত বেড়ে যাওয়ায় আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। এ সমস্যাটি একটি মারাত্মক জাতীয় সমস্যায় পরিণত হয়েছে।’

Advertisement

আরও পড়ুন>> কাজের কথা বলে ছাত্রীদের ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করতেন সেই শিক্ষক

তিনি বলেন, ‘দেশের নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই ধর্ষণ, হত্যা বিশেষ করে কন্যা শিশু ধর্ষণ এবং হত্যার ঘটনায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশে যেভাবে নারী ও শিশু ধর্ষণ এবং হত্যা বেড়েছে তা আইয়ামে জাহিলিয়াতকেও হার মানাচ্ছে। বাস, ট্রেন, লঞ্চ, অফিস, বাসা-বাড়ি, স্কুল-কলেজ, মাদরাসা কোথাও আজ নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নেই। বাসা-বাড়িতে কাজে নিয়োজিত কন্যা শিশুদের ধর্ষণের পরে হত্যা করে বিল্ডিংয়ের উপর থেকে ফেলে দেয়ার মতো নৃশংস ঘটনাও ঘটছে। সারা দেশে যে অবস্থা বিরাজ করছে তার খণ্ডিতাংশই সংবাদপত্রে ও মিডিয়ায় প্রকাশিত হচ্ছে। বাস্তব অবস্থা আরও ভয়াবহ।’

আরও পড়ুন>> কড়া নেড়ে ঘরে ঢুকে তিনজন মিলে ‘ধর্ষণ’

Advertisement

শফিকুর বলেন, ‘নারী ও শিশু হত্যা, ধর্ষণকারী ও মাদকাসক্তদের বিচারের নামে যে দীর্ঘসূত্রিতা চলছে, তার কারণেই দুর্বৃত্তরা আইনের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে গিয়ে অপরাধে আরও উৎসাহিত হচ্ছে। এটা বন্ধের জন্য অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত গ্রেফতার করে, শাস্তি প্রদান করতে হবে। সেই সঙ্গে সমাজের সর্বস্তরে কোরআন-সুন্নাহর আলোকে ইসলামী নীতি-আদর্শ অনুসরণের ওপর বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘তাই নারী ও কন্যা শিশু ধর্ষণ, হত্যা এবং এসিড সন্ত্রাস বন্ধের ব্যাপারে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

আরও পড়ুন>> সন্ত্রাসীর সঙ্গে যুদ্ধ করেও স্বামীকে বাঁচাতে পারলেন না স্ত্রী

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল তার বিবৃতিতে আরও বলেন, ‘নৈতিক অবক্ষয়ের কারণেই সমাজে নারী ও শিশু ধর্ষণ, হত্যা, ছিনতাই, গুম, এসিড সন্ত্রাস ইত্যাদি বেড়ে যাচ্ছে। এ অবস্থার জন্য দায়ী নীতিহীন শিক্ষা ও সহশিক্ষা ব্যবস্থা, মাদকাসক্তি, সিনেমা ও নাটকে অশালীন দৃশ্য প্রচার। এ অবস্থা থেকে একমাত্র কোরআন-সুন্নাহভিত্তিক ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থাই মানুষকে মুক্তি দিতে পারে। নৈতিক শিক্ষা দিয়ে মানুষের বিবেককে জাগ্রত করে, তাদের মধ্যে মনুষ্যত্ব, মানবিক মূল্যবোধ ও আল্লাহর ভয় সৃষ্টি করতে হবে। তাহলেই এ অবস্থার অবসান হতে পারে।’

Advertisement

কেএইচ/জেডএ/পিআর