সম্প্রতি জার্মানিতে একটি জরিপ চালানো হয়েছে। দেশটির ব্যার্টেলসমান ফাউন্ডেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান ও জরিপটি করেছে। তাদের প্রকাশিত প্রতিবেদননে জানানো হয়েছে, জার্মানদের মধ্যে অনেকেই ইসলামকে হুমকি মনে করেন। তবে গণতন্ত্রের প্রতি অটুট আস্থা রয়েছে তাদের।
Advertisement
বৃহস্পতিবার দ্বি-বার্ষিক এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে ব্যার্টেলসমান ফাউন্ডেশন। বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী এবং ধর্মে বিশ্বাসী নন এমন মানুষদের মতামতের ভিত্তিতে তৈরি করা প্রতিবেদন বলছে, জার্মানির শতকরা নব্বই ভাগেরও বেশি মানুষ মনে করে সরকারব্যবস্থা হিসেবে গণতন্ত্রই সর্বোত্তম।
এ ছাড়া তাদের প্রতিবেদনে অংশগ্রহণকারী মানুষের মতামতের ভিত্তিতে হিসাব করে দেখা গেছে, শতকরা ৯৩ জন খ্রিস্টান, ৯১ জন মুসলমান এবং ধর্ম অনুসরণ করেন না এমন শতকরা ৮৩ ভাগ মানুষ বলেছেন, জার্মানিতে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকা উচিত।
ইসলাম সম্পর্কে জার্মানদের ধারণা
Advertisement
তবে অনেক জার্মানের মধ্যে ইসলামের প্রতি এক ধরনের নেতিবাচক ধারণা রয়েছে। অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আগমন এবং বিশ্বায়নের কারণেই এমনটি হচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। ব্যার্টেলমান ফাউন্ডেশন যাদের সাক্ষাৎকার নিয়েছে তাদের অর্ধেকই মনে করে, অনেক মুসলমানের গোঁড়ামি এবং অসহিষ্ণুতা জার্মানির জন্য হুমকিস্বরূপ।
আরও পড়ুন>> পশ্চিমাদের মধ্যপ্রাচ্য ছাড়ার হুমকি দিল ইরান
তবে এই ধারণা যারা পোষন করেন তাদের বেশিরভাগ মানুষ জার্মানির পূর্বাঞ্চলের। যেখানে খুব কম মুসলমান বাস করেন। সেই অঞ্চলের ৩০ ভাগ মানুষ জানিয়েছেন, প্রতিবেশী হিসেবে তারা কোনো মুসলমানকে চাননি। জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলে এমন মানুষ বেশ কম। সেখানে শতকরা ১৬ ভাগ মানুষের ধারণাও এমন।
তবে জার্মানিতে বসবাসরত মুসলমানদের কেন্দ্রীয় সংগঠনের নেতা আয়মান মায়েক মনে করেন, গবেষণায় যা উঠে এসেছে তা দেখে বিস্মিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। তিনি বলেন, ‘আমি প্রকৃত পরিস্থিতি আরও খারাপ ভেবেছিলাম।
Advertisement
তার মতে, জার্মানির উগ্র ডানপন্থিদের অপপ্রচারের কারণে সমাজে ইসলামের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব বাড়ছে। প্রসঙ্গত, জার্মানিতে ৫০ লাখের মতো মুসলমান রয়েছে। সবচেয়ে বেশি মুসলমানের বাস নর্থরাইন ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যে।
সূত্র : ডয়েচে ভেলে
এসএ/পিআর