বিশ্বব্যাপী সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে তালিকাভুক্ত ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৫০তম। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা ফ্রান্সভিত্তিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরেএসএফ) ২০১৮-১৯ সালের জন্য সূচকটি তৈরি করেছে। গত দুই বছর সংস্থাটির প্রকাশিত তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪৬তম।
Advertisement
আরএসফের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষমতাসীন সরকারের নেয়া কঠোর নিয়মনীতির শিকার হচ্ছেন বাংলাদেশের সাংবাদিকরা। বাংলাদেশে গণমাধ্যমের উপর নিয়ন্ত্রণে নতুন অস্ত্র হিসেবে এসেছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। যা ২০১৮ সালে পাস হয়েছে।
রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস আরও বলেছে, ২০১৮ সালের অক্টোবরে চালু হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কারণে ‘নেতিবাচক প্রোপাগান্ডা’ চালানো যেকোনো পক্ষকে ১৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেয়া যাবে। অন্যদিকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ সমাজের স্বপ্ন দেখা সাংবাদিক ও ব্লগারদের হয়রানি করছে জঙ্গিরা। কিছু ক্ষেত্রে এসব জঙ্গি সাংবাদিকদেরও হত্যা করছে।
কঠোর রাষ্টীয় নিয়মনীতির কারণে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা লঙ্ঘনের ঘটনাসহ মাঠপর্যায়ে কাজ করা সাংবাদিকদের ওপর রাজনৈতিক হামলার ঘটনাও বেড়েছে। অনলাইন সংবাদ পোর্টাল বন্ধ করে দেয়া এবং সাংবাদিকদের বিতর্কিতভাবে গ্রেফতারের ঘটনাও ঘটছে।
Advertisement
আরএসএফের এবারের সূচকে বাংলাদেশের ঠিক ওপরে আছে রাশিয়া আর ঠিক পরের অবস্থানটি সিঙ্গাপুরের। প্রতিবেশীদের মধ্যে ভারতের অবস্থান ১৪০। আর সূচকে পাকিস্তানের অবস্থান ১৪২তম। যুক্তরাজ্যের ৩৩ আর যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ৪৮ তম।
বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা আরএসএফ তাদের এবারের সূচকে বলেছে, ইউরোপসহ গোটা বিশ্বজুড়েই সাংবাদিকেরা ক্রমাগত সহিংসতার শিকার হচ্ছেন। সাংবাদিকেরা এখন বিশ্বব্যাপীই একটি ‘ভয়ের সংস্কৃতির’ মধ্যে কাজ করছেন। তবে আফ্রিকা অঞ্চলে কিছুটা আশার সঞ্চার হয়েছে।
২০১৮-১৯ সালের বৈশ্বিক সূচকে আবারও শীর্ষস্থান অধিকার করেছে নরওয়ে। এরপর আছে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন। প্রথম দশটি দেশের মধ্যে আরও রয়েছে নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, সুইজারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, জ্যামাইকা, বেলজিয়াম এবং কোস্টারিকা। অন্যদিকে সর্বশেষ স্থান থেকে উত্তরণ ঘটেছে উত্তর কোরিয়ার। এ বছর সর্বশেষ স্থানে আছে তুর্কমেনিস্তান।
এসএ/পিআর
Advertisement