ইমরান আহমদকে মন্ত্রী ও ফজিলাতুন নেসাকে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
Advertisement
এই নিয়োগ দিয়ে বৃহস্পতিবার স্বাক্ষরিত আদেশটি শুক্রবার প্রকাশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। শপথ নেয়ার দিন থেকে এই নিয়োগ কার্যকর হবে।
আগামীকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বঙ্গভবনে তারা শপথ নেবেন বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানা গেছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম স্বাক্ষরিক এক আদেশে বলা হয়েছে, সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদের (২) দফা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি এই নিয়োগ দিয়েছেন।
Advertisement
ইমরান আহমদ বর্তমানে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। শপথ নেয়ার পর তাদের দফতর বণ্টন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আদেশ জারি করা হবে।
ইমরান আহমদকে বর্তমান মন্ত্রণালয় অর্থাৎ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে এবং আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরাকে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সরকার গঠনের ছয় মাসের মাথায় সম্প্রসারিত হচ্ছে মন্ত্রিসভা। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গত ৭ জানুয়ারি টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। ৪৬ সদস্যের ওই মন্ত্রিসভায় ২৪ মন্ত্রী, ১৯ প্রতিমন্ত্রী ও তিনজন উপমন্ত্রী রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে ছয় মন্ত্রণালয় রাখা হয়।
পরে গত ১৯ মে মন্ত্রিসভা পুনর্বিন্যাস করা হয়। তখন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী করা হয়। এছাড়া ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারকে একই মন্ত্রণালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী করা হয়। এ মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে।
Advertisement
একই সঙ্গে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীন স্থানীয় সরকার বিভাগের মন্ত্রী করা হয় তাজুল ইসলামকে। তাকে আগে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও স্বপন ভট্টচার্যকে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। একই মন্ত্রণালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন স্বপন ভট্টাচার্য।
আরএমএম/জেএইচ/পিআর