মার্কিন সরকার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ওয়াশিংটন এখন মনে করছে, জারিফের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার সুযোগ বন্ধ হয়ে যাবে। খবর পার্স ট্যুডে।
Advertisement
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ২৪ জুন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেন। একই দিনে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মানুচিন জানান, পরের সপ্তাহে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকেও নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হবে।
২০১৫ সালে পাশ্চাত্যের সঙ্গে ইরানের যে ঐতিহাসিক পরমাণু সমঝোতা হয় তার অন্যতম প্রধান কারিগর পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ। গত বছর ওই সমঝোতা থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে বেআইনিভাবে বের করে নিয়ে তেহরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
মার্কিন প্রশাসনের বিশ্বস্ত দু’টি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, ওয়াশিংটন জারিফের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে সূত্রগুলো এর কোনো কারণ জানাতে পারেনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানিয়েছে, জারিফের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিরোধিতা করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।
Advertisement
এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মরগ্যান ওরট্যাজাস বৃহস্পতিবার বলেন, ওয়াশিংটন ইরানের পরমাণু সমস্যার কূটনৈতিক সমাধান চায়। ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে ‘নিঃশর্ত’ আলোচনায় বসতে চান বলে আবার দাবি করেন তিনি। এ নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট অসংখ্যবার ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ করলেন। তবে তেহরান সুস্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকা অবস্থায় ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনায় বসবে না ইরান।
টিটিএন/এমকেএইচ