অপরাধ করে দীর্ঘ ১৪ বছর কারাবন্দি ছিলেন জাহাঙ্গীর। পেয়েছেন শাস্তি। ইচ্ছে ছিল কারাভোগ শেষে জীবনটা কাটাবেন ভালোর পথে। তাই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে বাবা-মা ও একমাত্র ছোট বোনকে নিয়ে চলার জন্য কর্মসংস্থানের খোঁজ করছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নিয়মিত গণশুনানিতে এমনই কথা জানান দিরাই উপজেলার দাউদপুর এলাকার মো. আব্দুল খালেকের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলম।
Advertisement
শুনানিতে মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, তিনি দীর্ঘ ১৪ বছরের কারাভোগ শেষে গত ০৯ জুলাই মুক্তি পান। বর্তমানে তার কোনো কর্মসংস্থান নেই। তিনি কাজ করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করতে চান।
তার কথা শুনে চা-পানের ক্ষুদ্র ব্যবসা করার জন্য বিশ হাজার টাকার চেক প্রদান করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শরীফুল ইসলামসহ জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চেক পেয়ে জাহাঙ্গীর আলম জেলা প্রশাসককে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, স্যার আমাকে যে সহযোগিতা করলেন তা আমি কোনোদিন ভুলব না। ঘরে মা-বাবা ও একমাত্র বোন রয়েছে। বাকি জীবনটা সৎ পথে কাটাব। আমি এই টাকা দিয়ে একটি চা-পানের দোকান দেব। সেখান থেকে যা আয় হবে তা দিয়েই সংসার চালাব।
Advertisement
এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, জাহাঙ্গীর কারাগারেও আমাকে জানায় সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চায়। যদি কোনো মানুষ অপরাধের রাস্তা ত্যাগ করে ভালোর পথে আসতে চায় অবশ্যই সাহায্য করা হবে। তাছাড়া তার বাবা-মাকে নিয়ে বসবাসের জন্য একটি ঘরও দেয়া হবে। জাহাঙ্গীরের ব্যবসার সার্বক্ষণিক তদারকির জন্য দিরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) অনুরোধ করেছি।
মোসাইদ রাহাত/এফএ/এমকেএইচ