উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণে দীঘিনালার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েকশ পরিবার। পানিতে ভেসে গেছে শত শত পুকুরের মাছ। নষ্ট হয়েছে জমির ফসল। দীঘিনালা উপজেলার কবাখালী, ছোট মেরুং বাজার, সোবাহানপুর ও বেতছড়িসহ বেশকিছু এলাকা কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে।
Advertisement
দীঘিনালা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. কাউছার আলম সরকার জানান, উপজেলার ১২টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত আড়াইশ পরিবার। আশ্রিতদের মাঝে সেনাবাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রান্না করা কাবার বিতরণ করা হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অনেকেই তাদের স্বজন বাড়িতে উঠেছেন।
দীঘিনালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ মো. কাশেম মেরুং, বেতছড়িসহ দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তার সঙ্গে ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা কামাল মিন্টু ও দীঘিনালা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম রাজু।
এদিকে মেরুং এলাকার সড়ক ও বেইলি ব্রিজ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দীঘিনালার সঙ্গে পাশের জেলা রাঙ্গামাটির লংগদুর সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
Advertisement
দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ উল্লাহ জানান, বুধবার কবাখালী ইউনিয়নের আলীনগর এবং হেডম্যানপাড়ায় পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে থাকা ১৮৬ পরিবারকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় সরিয়ে আনা হয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসন তৎপর রয়েছে।
এর আগে ৯ জুলাই বিকেলের দিকে দীঘিনালার দুর্গম উল্টাছড়িতে ভূমিধসে যুগেন্দ্র চাকমা (৪০) নামে একজন নিহত হয়। দীঘিনালা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়।
মুজিবুর রহমান ভুইয়া/বিএ
Advertisement