দেশজুড়ে

ফরিদপুরে পুলিশের তাড়ায় শ্রমিকের মৃত্যু, উত্তেজনা

ফরিদপুরে ভাঙ্গায় পুলিশের তাড়া খেয়ে আব্দুল কুদ্দুস মোল্লা (৬০) নামে এক মটর শ্রমিক নিহতের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় শুক্রবার বিকালে উত্তেজিত জনতা পুলিশ কনেষ্টেবল মতিয়ার রহমানকে মারধর করে মুকসুদপুর উপজেলার ররইতলা বাস মালিক সমিতির অফিসে আটকে রাখে। পরে ভাঙ্গা ও মুকসুদপুর থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় বেশ উত্তেজনা বিরাজ করছে।জানা গেছে, ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার চুমুরদী এলাকার আনোয়ার হোসেন মাতুব্বরের বাড়ির উঠানে বসে কয়েক ব্যক্তি তাস খেলছিল। এ সময় এসআই ফেরদৌস হোসেনে নেতৃত্বাধীন একদল পুলিশ তাদের তাড়া করলে মাটিতে পড়ে গিয়ে আব্দুল কুদ্দুস মোল্লার মৃত্যু হয়। তবে নিহতের পরিবারের দাবি পুলিশের মারধরে তার মৃত্যু হয়েছে।এ ঘটনার অবস্থা বেগতিক দেখে অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা চলে গেলেও উত্তেজিত শ্রমিকেরা পুলিশ কনেষ্টেবল মতিয়ার রহমানকে আটক করে মারধর করে। পরে ঘটনাস্থল থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে মুকসুদপুর উপজেলার ররইতলা বাস মালিক সমিতির অফিসের মধ্যে তাকে আটকে রাখে। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম ও মুকসুদপুর থানার উপ-পরিদর্শক বিএম লিয়াকত আলী এবং সিন্দিয়াঘাট নৌ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক গিয়াস উদ্দিনসহ একদল পুলিশ অবরুদ্ধ ওই পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর এলাকাবাসীর মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়ের করা হয়েছে।নিহতের চাচাতো ভাই শাহ আলম মোল্লা জানান, পুলিশ আব্দুল কুদ্দুস মোল্লাকে আটক করে তার কাছে থাকা মোবাইল কেড়ে নেয়। পরে তাকে বেদম মারধর করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। নিহতের গলার বাম পাশে আঘাতে চিহ্ন রয়েছে বলেও জানান তিনি।মকুসুদপুর উপজেলার বরইতলা শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক কোষাধ্যক্ষ মো. অলিউর রহমান জানান, আব্দুল কুদ্দুস মোল্লা মারা যাওয়া পরে পুলিশ সদস্য মতিয়ার রহমানকে অফিসের মধ্যে আটকে রাখে উত্তেজিত শ্রমিকেরা। পরে শনিবার সকাল ১০টায় এক বৈঠক করার শর্তে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।মুকসুদপুর থানার উপ-পরিদর্শক বিএম লিয়াকত আলী জানান, ভাঙ্গা থানার পুলিশ সদস্য মতিয়ার রহমানকে বাস মালিক সমিতির অফিসের মধ্যে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। পরে তাকে উদ্ধার করে রাত ৮টার দিকে ভাঙ্গা থানায় পৌঁছে দেওয়া হয়।ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নাজমুল ইসলাম মৃত্যু ঘটনা স্বীকার করে জানান, জুয়া খেলার খবর পেয়ে পুলিশ তাড়া করলে আব্দুল কুদ্দুস মোল্লা পালানোর সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।তবে পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ করার ঘটনা অস্বীকার করে ওই পুলিশ সদস্য থানায় রয়েছে বলে জানান তিনি।এসএম হুমায়ূন কবীর/আরএস

Advertisement