আইন-আদালত

ট্রেনে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে সম্রাটের জবানবন্দি

প্রলোভন দেখিয়ে রাজধানীর মুগদা হাসপাতালের সামনে থেকে রিকশাযোগে কমলাপুর নিয়ে ট্রেনের ভেতরে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার সম্রাট স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) তাকে ঢাকার চিফ জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় তার জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ ব্রাঞ্চের কমলাপুর রেল ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক আলী আকবর। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব হাসান জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।

এর আগে সম্রাটকে গ্রেফতার করে রেলওয়ে পুলিশ। তার বাড়ি নারায়ণগঞ্জে।

বুধবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যায় কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনে ধর্ষণের শিকার ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে ট্রেনের যাত্রীরা। বিষয়টি জানতে পেরে প্রথমে বিমানবন্দর থানায় এবং পরে মধ্যরাতে ভুক্তভোগীকে কমলাপুর রেলওয়ে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়।

Advertisement

আজ দুপুরে মামলা করা হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়।

কমলাপুর রেলওয়ে পুলিশের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুশো বণিক বলেন, ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। মামলা নং ৫। আসামি সম্রাটকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

রেলওয়ে পুলিশ ঢাকা জোনের এএসপি ওমর ফারুক বলেন, ভুক্তভোগীর নানি মুগদা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বুধবার বিকেলে হাসপাতাল থেকে বেড়াতে যাওয়ার কথা ছিল ওই কিশোরীর। এ সুযোগে সম্রাট ফুসলিয়ে তেজগাঁও নামিয়ে দেয়ার কথা বলে রিকশাযোগে কমলাপুর রেলস্টেশনে নিয়ে যায়। এরপর কমলাপুরে যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনের টয়লেটে আটকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে।

তিনি বলেন, মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং চলাফেরা অস্বাভাবিক মনে হলে ওই যুবককে আটকে রেখে যাত্রীরা পুলিশে খবর দেয়। চলন্ত ট্রেনটি বিমানবন্দর স্টেশনে স্টপেজ দিলে পুলিশ শিশুটিকে হেফাজতে নেয় এবং সম্রাটকে আটক করে।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, ওই শিশুকে উদ্ধার ও অভিযুক্ত যুবককে আটকের ক্ষেত্রে পুলিশি গাফিলতি নয় বরং দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে।

জেএ/এএইচ/পিআর