বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি মালয়েশিয়ার বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন। মালয়েশিয়া এবং বাংলাদেশ সরকার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে একমত।
Advertisement
তিনি বলেন, বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ উপযুক্ত স্থান। বাংলাদেশ সরকার দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। বিনিয়োগের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে বাংলাদেশ সরকার ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করেছে। এখন দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিনিয়োগকারীরা সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে পাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির যৌথ উদ্যোগে এবং কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস সাউথ সাউথ অ্যাসোসিয়েশন ও মালয়েশিয়ার এক্সটার্নাল ট্রেড ডেভেলপমেন্ট কোর্পোরেশনের সহযোগিতায় চতুর্থবারের মত মালয়েশিয়ায় আয়োজিত ‘শোকেস বাংলাদেশ ২০১৯-গো গ্লোবাল’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমেদ, মালয়েশিয়ার আন্তর্জতিক বাণিজ্য ও শিল্প উপমন্ত্রী ড. ওয়াং কিয়াং মিং, বায়রার সভাপতি বেনজির আহমেদ, মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, উভয় দেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা বক্তব্য রাখেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞাপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
Advertisement
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে দেশে দৃশ্যমান উন্নতি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে। এর অনেকগুলোর কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। বিশ্বের অনেক বিনিয়োগকারী ইতিমধ্যে বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে এসেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া ১ হাজার ৫৯৫ দশমিক ৪৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের বাণিজ্য হয়েছে। এরমধ্যে বাংলাদেশ রফতানি করেছে ২৩২ দশমিক ৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। একই সময়ে আমদানি করেছে এক হাজার ৩৬৩ দশমিক ০৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।
বাংলাদেশ থেকে প্রধানতঃ তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাবার, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হিমায়িত চিংড়ি ইত্যাদি রফতানি হয়। মালয়েশিয়ায় হালাল পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এ শোকেস বাংলাদেশ ২০১৯-গো গ্লোবালের মাধ্যমে বাংলাদেশের হালাল পণ্যসহ অন্য সম্ভাবনাময় পণ্য সম্পর্কে মালয়েশিয়ার ক্রেতাদের অবহিত করণ, মালয়েশিয়ার আমদানিকারকেদের সঙ্গে নেটওয়ার্ক স্থাপন এবং সম্ভাবনাময় খাতে মালয়েশিয়ার উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানানোর সুযোগ হবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশকে ব্রান্ডিং করা হচ্ছে, দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ এবং মালয়েশিয়ান শিল্প কারখানা বাংলাদেশে গড়ে তোলার উপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়া এবং বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, নীতি নির্ধারক ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ অংশ নেয়।
Advertisement
এছাড়া বাণিজ্যমন্ত্রী ১২ জুলাই কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
এমইউএইচ/এএইচ/পিআর