যশোর-চৌগাছা থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকায় নিয়মিত যাতায়াত করে আসছে আলফা পরিবহন। তবে প্রায়ই মেরামতের কথা বলে খালি বাসে ফেনসিডিল বহন করছে বাসটি। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ৬৫০ বোতল ফেনসিডিল জব্দের পর এ তথ্য জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
Advertisement
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে ফেনসিডিলসহ বাসটি জব্দ ও চারজনকে আটক করে র্যাব-২ এর একটি দল। মেরামতের নামে বাসটি যশোর থেকে ঢাকায় আনা হচ্ছিল।
আটকরা হলেন বাসটির চালক আসাদুল ইসলাম (২৬), মাদক ব্যবসায়ী বাবু মিয়া (৩২), ইকবাল হোসেন ওরফে মোহন (৩০) ও সোহেল হাছান জুয়েল শেখ (২৮)।
র্যাব-২ এর কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী জাগো নিউজকে বলেন, ‘যশোর জেলার সীমান্ত অঞ্চল থেকে একটি সচল এসি বাসকে পরিত্যক্ত দেখিয়ে বড় ধরনের মাদকের একটি চালান ঢাকায় আসছে-এমন তথ্যে নজরদারি রাখা হয়। রাজধানীর গাবতলী, মোহাম্মদপুর, আদাবরসহ বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চৌকি স্থাপন করে মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত বাসসহ ফেনসিডিলের চালানটি ধরার জন্য র্যাব-২ এর একাধিক দল অবস্থান নেয়।
Advertisement
বেলা ১১টার দিকে মোহাম্মদপুর থানার বছিলায় তিন রাস্তার মোড় হয়ে আন্তঃজেলা যশোর-চৌগাছা রুটের একটি এসি বাস (ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-২৯৪৩) মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে আসলে গতিরোধ করা হয়।
বাস ড্রাইভার জানান, বাসটি মেরামতের জন্য ঢাকায় আনা হয়েছে। বাসটি ঘুরিয়ে রায়েরবাজার বেড়িবাঁধে গ্যারেজে মেরামতের জন্য নিয়ে যাওয়া হবে।
জিজ্ঞাসাবাদে চালকসহ চারজনের আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে বাসের কাগজপত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখাতে বলা হয়। কিন্তু তারা তা দেখাতে পারেননি। পরে বাসটি তল্লাশি করে দেখা যায়, বাসের ভেতরে পেছনের সিটের নিচে বিশেষ কায়দায় নির্মিত বক্সে থরে থরে সাজানো ফেনসিডিল। পরে সেগুলো জব্দ ও চারজনকে আটক করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, বাসটির ভেতরের অংশে সিট ভাঙা ও পরিত্যক্ত দেখানো তাদের একটি কৌশল। ওই বাসটিতে পরস্পর যোগসাজশে তারা সীমান্তবর্তী যশোর ও চুয়াডাঙ্গা এলাকা থেকে প্রতি সপ্তাহে ফেনসিডিলের বড় বড় চালান ঢাকায় বিক্রি করতেন তারা।
Advertisement
মহিউদ্দিন ফারুকী বলেন, ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা দায়েরপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
জেইউ/এসআর/পিআর