দেশজুড়ে

মাকে আটকের খবর পেয়ে থানায় হাজির ধর্ষক

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় মাকে আটকের খবর পেয়ে স্বেচ্ছায় থানায় হাজির হলো ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি বকুল হোসেন মণ্ডল (২৩)।

Advertisement

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ধুনট থানায় হাজির হলে তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। গ্রেফতার বকুল হোসেন উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের অফফের আলীর ছেলে। বকুল হোসেনের ধর্ষণের শিকার হয়ে এক স্কুলছাত্রী পুত্রসন্তান প্রসব করে। এ ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি বকুল পলাতক ছিল।

বকুলকে গ্রেফতারের কৌশল হিসেবে তার মা কহিনুর খাতুনকে ৭ জুলাই দুপুরে নিজ বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। থানায় আটক মা চারদিন ধরে মোবাইলে ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। অবশেষে মায়ের ভালোবাসার টানে ধর্ষক ছেলে থানায় হাজির হলে তার মাকে ছেড়ে দেয়া হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার মেয়েটি কৈয়াগাড়ি গ্রামে নানা রশিদ মণ্ডলের বাড়ি থেকে স্থানীয় বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত। বিয়ের প্রলোভনে বকুল হোসেন স্কুলছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। ২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল বিকেলে বকুল মেয়েটির ঘরে ঢুকে ধর্ষণের সময় ধরে ফেলে নানা। ঘটনাটি প্রকাশ করার ভয় দেখিয়ে একই সময় নানা রশিদ মণ্ডলও নাতনিকে ধর্ষণ করে।

Advertisement

ধর্ষণে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হলে তার বাবা বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। ওই মামলায় মেয়েটির নানা রশিদ মণ্ডল ও প্রেমিক বকুল হোসেনকে আসামি করা হয়। এ অবস্থায় ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী ১ জানুয়ারি বাবার বাড়ি পুত্রসন্তানের জন্ম দেয়। এছাড়া সন্তানপ্রসবের পর লোকলজ্জায় মেয়েটি পরিবারসহ গ্রাম ছেড়ে আত্মগোপনে রয়েছে।

ওই মামলার ২ নম্বর আসামি স্কুলছাত্রীর আপন নানা রশিদ মণ্ডলকে (৬২) ২৫ জানুয়ারি গ্রেফতার করে বগুড়া কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। রশিদ মণ্ডল উপজেলার যমুনা পাড়ের কৈয়াগাড়ি গ্রামের মুনছের আলীর ছেলে। বর্তমানে সে কারাগারে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ধুনট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, ধর্ষণ মামলার আসামি ছেলেকে গ্রেফতারের কৌশল হিসেবে মাকে আটক করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার বকুল হোসেনকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া কারাগারে পাঠানো হয়। ধর্ষণে জন্ম নেয়া সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের জন্য রশিদ মণ্ডলের ডিএনএ পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে এবং বকুলের ডিএনএ পরীক্ষার প্রস্তুতি চলছে।

এএম/পিআর

Advertisement