অর্থনীতি

কপারটেকের ভাগ্য ম্যানেজমেন্টের ওপর

পুঁজিবাজারে বহুল আলোচিত কোম্পানি কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজের তালিকাভুক্তির সিদ্ধান্ত ম্যানেজমেন্টের ওপর ছেড়ে দিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

ডিএসইর এক পরিচালক বলেন, আর্থিক প্রতিবেদনে অস্বচ্ছতার কারণে এতদিন কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজকে তালিকাভুক্ত করা হয়নি। অনিয়মের কারণে দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) কপারটেকের নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান আহমেদ অ্যান্ড আক্তারের সনদ নবায়ন করেনি। এতে প্রমাণিত হয়েছে কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজকে তালিকাভুক্ত না করে সঠিক কাজ করেছি।

তিনি বলেন, ডিএসই তালিকাভুক্ত না করলেও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজকে তালিকাভুক্তির অনুমোদন দিয়েছে। যে কারণে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে ডিএসইর কাছে থাকা এলিজিবল ইনভেস্টরদের (ইআই) আইপিও সাবস্ক্রিপশনের টাকা কোম্পানিটির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানোর দির্দেশ দিয়েছে।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজের নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের সনদ স্থগিত করা হলেও কোম্পানিটিকে তালিকাভুক্তির নানামুখী চাপ রয়েছে। তাই কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ তালিকাভুক্তির সিদ্ধান্ত নেয়ার দায়িত্ব ম্যানেজমেন্টকে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে এখন ম্যানেজমেন্ট সিদ্ধান্ত নেবে।

আহমেদ অ্যান্ড আক্তারকে দিয়ে আর্থিক প্রতিবেদন নিরীক্ষা করে বিএসইসির অনুমোদন নিয়ে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ২০ কোটি টাকা উত্তোলন করে কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ।

তবে আর্থিক প্রতিবেদনে অস্বচ্ছতার অভিযোগ উঠায় ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ ও ম্যানেজমেন্টের যৌথ সিদ্ধান্তে কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজের তালিকাভুক্ত আটকে দেয়া হয়। পাশাপাশি ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল (এফআরসি) এবং পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কাছে ডিএসই থেকে অভিযোগ করা হয়।

এরপর কপারটেকের আর্থিক প্রতিবেদন ক্ষতিয়ে দেখতে এফআরসি থেকে আইসিএবিকে দায়িত্ব দেয়া হয়। এর ভিত্তিতে আইসিএবি তদন্তে নামলে তাতে অসহযোগিতা করে কপারটেকের নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান আহমেদ অ্যান্ড আক্তার। ফলে প্রাথমিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে আইসিএবি নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

Advertisement

এমএএস/এএইচ/এমকেএইচ