লাওসকে হারিয়ে কাতার-২০২২ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠা বাংলাদেশ এখন প্রতিপক্ষ পাওয়ার অপেক্ষায়। এশিয়ার চল্লিশ (৪০) দেশ নিয়ে বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে ৫ সেপ্টেম্বর।
Advertisement
এবার প্রতিপক্ষ পাওয়ার অপেক্ষায় থাকলেও, এর আগেরবার অর্থাৎ, রাশিয়া বিশ্বকাপের বাছাই পর্বটা খুব খারাপ কেটেছিল বাংলাদেশের। সেবার সরাসরি দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বাছাই পর্ব শুরু করেছিল লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল অস্ট্রেলিয়া, জর্ডান, কিরাগিজস্তান ও তাজিকিস্তান। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে বাংলাদেশ ৮ ম্যাচ খেলে কোনো জয় পাইনি। একটি ড্র নিয়ে ৫ দেশের মধ্যে হয়েছিল পঞ্চম। ৩২ গোল হজম করে দিতে পেরেছিল মাত্র ২ টি।
আগামী ১৭ জুলাই মালেয়শিয়ার কুয়ালালামপুরে হবে দ্বিতীয় রাউন্ডের ড্র। আপাতত ১৭ জুলাইয়ের দিকেই তাকিয়ে বাফুফে ও কোচ জেমি ডে। দ্বিতীয় পর্বে যে ৪০ দেশ অংশ নেবে তাদের রাখা হয়েছে ৫ পটে। শেষ পটে বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, নেপাল, কম্বোডিয়া, মঙ্গোলিয়া, গুয়াম ও শ্রীলংকা। প্রতি পটের দেশগুলো লটারির মধ্যে পড়বে ৮টি গ্রুপে।
স্বাভাবিকভাবেই ১ নম্বর পটের দলগুলো শক্তিশালী। ইরান, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও চীন-এক নম্বর পটের এই দেশগুলোর যেকোনো একটি পড়বে বাংলাদেশের গ্রুপে। তেমন ২ নম্বর পটের ইরাক, উজবেকিস্তান, সিরিয়া, ওমান, লেবান, ভিয়েতনাম, কিরগিজস্তান ও জর্ডানের একটি পাবে জামাল ভুঁইয়ারা।
Advertisement
তিন নম্বর পটের দলগুলো হচ্ছে-ফিলিস্তিন, ভারত, বাহরাইন, থাইল্যান্ড, তাজিকিস্তান, উত্তর কোরিয়া, চাইনিজ তাইপে ও ফিলিপাইন এবং চার নম্বর পটে তুর্কমেনিস্তান, মিয়ানমার, হংকং, ইয়েমেন, আফগান্তিান, মালদ্বীপ, কুয়েত ও মালয়েশিয়া।
এবার পটগুলোয় যেভাবে দল পড়েছে তাতে বাংলাদেশের গ্রুপে দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দেশ পড়ার সম্ভাবনাও আছে। তিন নম্বর পট থেকে ভারত ও চার নম্বর পট থেকে মালদ্বীপ পড়লেও পড়তে পারে বাংলাদেশের সঙ্গে।
এশিয়ার এই বাছাই পর্বটা শুধু বিশ্বকাপেরই নয়, এশিয়ান কাপেরও। তাই বিশ্বকাপের দৌঁড় থামলেও দলগুলোর থাকবে এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে ওঠার সুযোগ। তাই এখান থেকেই বাছাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ দৌঁড় শুরু করতে যাচ্ছে এশিয়ার শীর্ষ ৪০ দেশ।
এদিকে গ্রুপে পাওয়া প্রতিপক্ষ বিবেচনা করে বাংলাদেশ দলের পরিকল্পনা নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ। তিনি বলেছেন, ‘আসলে ১৭ জুলাইয়ের পরই পরিষ্কার হবো আমাদের পরিকল্পনাটা কিভাবে হবে। কারণ, প্রতিপক্ষের ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছু। কোন অঞ্চলের দল বেশি পড়ে সেটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ, আমরা দলকে কেবল ঘরের ক্যাম্পে রেখেই অনুশীলন করাবো না। বিদেশি দল এনে বা দল বাইরে পাঠিয়েও প্রস্তুত করবো। প্রতিপক্ষ জানলেই জেমি ডে সেভাবে পরিকল্পনা তৈরি করবেন।’
Advertisement
যদিও জেমি ডে এখন দলের সঙ্গে নেই। জামাল ভুঁইয়াদের প্রথম বাধা পার করিয়ে এই ইংলিশ কোচ ছুটিতে দেশে গেছেন। ঠিক কবে ফিরবেন তা বলে যাননি। বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, আগস্টের প্রথম সপ্তাহেই জেমি চলে আসবেন। আর তিনি এসেই দল নিয়ে অনুশীলনে নেমে পড়বেন।
তবে কোচের আগস্টে আসা মানেই প্রিমিয়ার লিগের আর কোনো খেলা দেখতে পারবেন না কোচ। কারণ জুলাইয়ের মধ্যেই লিগ শেষ করতে যাচ্ছে বাফুফে। পরের মৌসুম এগিয়ে আনার কারণেই লিগ শেষ করার সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে।
আরআই/এসএস/জেআইএম